ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আসাদের অর্থ পাচারের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আসাদের অর্থ পাচারের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও

 বাশার আল-আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

পতনের বহু আগেই টের পেয়েছিলেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। পিতা হাফিজ আল আসাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই শান্তশিষ্ট বালক পরিণত হয়েছিলেন গণহত্যাকারী কষাই হিসেবে। নিজের অস্তিত্বের স্বার্থেই পাচার করেছিলেন কোটি কোটি কোটি মাকির্ন ডলার। পাঠিয়েছেন বন্ধুপ্রতীম দেশ রাশিয়ায়।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের উদ্ধৃত দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো অর্থ নগদ ডলার ও ইউরোর নোটে চলে যায় রাশিয়ায়। সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে এই চালান পাঠানো হয়েছিল এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা রাশিয়ার ব্যাংকগুলোতে এই অর্থ জমা করা হয়েছিল।

রাশিয়ায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এই অর্থ রাশিয়ায় পাচার করা হয়েছে মার্চ ২০১৮ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে। কয়েকটি ফ্লাইটে এই অর্থ পাচার করা হয়।

অনেকদিন ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলতে থাকায় এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়ার কারণে এই নগদ অর্থ স্থানান্তর করা হয় মস্কোতে। 

নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড শেঙ্কার বলেছেন, আসাদ সরকারকে সেই সময় বিদেশে অর্থ পাচার করতে হয়েছে বা একটি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজনের সময় তা সদ্ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘকাল ধরে আসাদ সরকার বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের এই কাজটি করে আসছে। 
 
সিরিয়ার লিগ্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একজন সিনিয়র গবেষক ইয়াদ হামিদ নিশ্চিত করেছেন যে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে আসাদ সরকারের ‘জরুির তহবিল’ হিসেবে ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া।
 
যার মধ্য দিয়ে সিরিয়ার বাইরে আসাদ পরিবারের সম্পদ ক্রমেই বাড়ছিল। একইসঙ্গে সিরিয়ার অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছিল। আসাদ পরিবার বিশেষ করে ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ দেশের অর্থনীতির মূল অংশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। 

যার মধ্যে মাদক পাচার এবং জ্বালানি চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ড ছিল।
 
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস

এসআর

×