ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাইডেন একটা মূর্খ: ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাইডেন একটা মূর্খ: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য ‘মূর্খ’ বলে আক্রমণ করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে ভুল এবং বোকামি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, "আমি মনে করি না রাশিয়ার ২০০ মাইলের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। বাইডেন প্রশাসন এখানে সম্পূর্ণ ভুল পথে চলেছে।"

ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এস্টেটে সোমবার এক বক্তৃতায় ট্রাম্প আরও বলেন, "রাশিয়ায় হামলা করার জন্য মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়াটা ছিল এক ধরনের বোকামি। বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিবর্তে অন্যভাবে বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন। আমি দায়িত্ব নেবার পর, আমি এ ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেব।"

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আগে বলেছিলেন যে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য রাশিয়ার চিন্তাধারার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, ২১ নভেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন। এই ঘোষণার পর, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য রাশিয়ার কুরস্ক এবং ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় ইউক্রেনের মাধ্যমে।

পুতিন আরও বলেছিলেন, রাশিয়া তাদের নতুন ওরেশনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ইউক্রেনের হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জানিয়েছে যে, পশ্চিমাদের আক্রমণাত্মক নীতি আরও সংঘাত বাড়িয়ে তুলবে এবং মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে, বাইডেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধের পর, যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সহায়তা করতে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। বাইডেনের অনুমতি দেয়ার ফলে, ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম হয়।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে আরও বলেন, "এই দীর্ঘ যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি চাই আমি। আমার কাছে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এখন যদি আমি সেটা প্রকাশ করি, তবে তা সফল নাও হতে পারে।"

এদিকে, বিশ্বের নজর এখন এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী প্রভাব নিয়ে, বিশেষ করে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা।

নুসরাত

×