মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কৌশলগত পরিসরের সৃষ্টি ঘটেছে, বিশেষত সিরিয়া এবং ইরাকের প্রেক্ষাপটে। তেহেরান দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া, ইরাক ও লেবাননের হিজবুল্লা একত্রে একটি শক্তিশালী প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা ইরানের আঞ্চলিক কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে, আসাদ সরকারের পতন ইরানের সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে এক নতুন বাস্তবতায় নিয়ে এসেছে। সিরিয়া, যা ইরানের কৌশলগত মঞ্চ ছিল, এখন আর সেই আগের মতো কার্যকর নয়। এর ফলে তেহেরানকে মধ্যপ্রাচ্যে তারনীতি ও কৌশল পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে।
এই পরিবর্তন শুধু ইরানের জন্য নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক দাবার ছক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। সিরিয়াতে ইরানের অবস্থান ক্ষীণ হলে, রাশিয়া ও মস্কোতে নতুন শাসকরা তাদের স্থান নিয়ে নতুন হিসাব-নিকাশ শুরু করবে। এই পরিস্থিতিতে, ইরানকে এখন শুধুমাত্র আঞ্চলিক প্রভাব নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও নতুন কৌশল নিতে হবে। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ, অন্যদিকে সৌদি আরব, তুরস্ক এবং ইসরায়েলও তাদের কৌশল পুনঃপ্রবৃদ্ধি করছে।
এই পরিসরে, তেহেরানকে তার সম্পর্কের দিকনির্দেশনায় তীব্রভাবে পরিবর্তন আনতে হবে, আর ইরানের কৌশলগত লাইন এখন শুধু শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। ইরানের আন্তর্জাতিক সমীকরণে এরকম পরিবর্তন শীঘ্রই বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
জাফরান