ড্রোন
তুরস্কের ড্রোনের বাজিমাত, পশ্চিমাদের মাথায় হাত
আধুনিক যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণে ড্রোন রাখে ক্যাম স্ক্যানার ভূমিকা। এই শিল্পের গ্র্যান্ড মাস্টার এরদোয়ানের তুরস্ক। ইসলাইলকে শাস্তি দিতেই কি এরদোয়ানের এই মহা আয়োজন, কে না জানে। এরদোয়ানের গলার কাটা নেতানিয়াহু। প্রতিরক্ষা খাতে এক নতুন যুগের সূচনা। আর এর পেছনের নেতৃত্বে তুরস্ক। সামরিক ড্রোনের বাজার এখন দ্রুত বড় হচ্ছে। তাতে অবিশ্বাস্য আধিপত্য তৈরি করেছে তুরস্ক। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিক ড্রোন তৈরি করেছে তুরস্ক।
এই ড্রোনগুলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ, আজারবাইজানের সামরিক অভিযান এমনকি উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে তুরস্কের তৈরি ড্রোনগুলো প্রত্যাশার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কেন এতো জনপ্রিয় তুরস্কের ড্রোন। কি আছে এই ড্রোনের মধ্যে যা বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
গত কয়েক বছরে তুরস্ক বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ভয়ঙ্কর কয়েকটি ড্রোন রপ্তানি করেছে। এই ড্রোনটির উদ্ভাবক তুরস্কের সামরিক ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দাবি করেছে যে, বর্তমানে বিশ্বে সামরিক ড্রোন বাজারে রপ্তানির প্রায় ৬৫ ভাগই তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে।
সেলচুক বায়রাক্টার বায়কার চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা বলেন, বায়কারই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক ড্রোন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে ৬০ ভাগ একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বায়কার। তুরস্ক কি সত্যি বিশ্বে ড্রোন বাজারের নেতা হয়ে উঠছে। যদি তাই হয় তাহলে এর পরিণতি কি হতে পারে। পশ্চিমা বিশ্বকে জবাব দিতে পারে ভূমিকা রাখবেন এরদোয়ান। ইসরাইলকে শায়েস্তা করতে পারবেন তো।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ড্রোন রপ্তানির খেতাবও এখন বায়কার হাতে। ইউক্রেন,আজারবাইজার এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ তুরস্কের এই ড্রোন ব্যবহার করছে। বিশেষত ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় বায়রাক্টারের ড্রোনের কার্যকারিতা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এর ফলে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এর আগে মনুষ্য বিহীন বিমান তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়ে ছিলো তুরস্ক। প্রাথমিক ভাবে তৈরির পর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে তুরস্ক।
শহীদ