ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১

ভারতের সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে সরানো হলো পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:০৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের সেনাপ্রধানের কার্যালয় থেকে সরানো হলো পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি

বামে নতুন টাঙ্গানো ছবি। ডানে পূর্বের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবিটি

ভারতের সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে স্থাপিত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ছবি সরানো হলো।

বিগত ৫০ বছর ধরে এই ছবি ভারতের সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে শোভা পেত এবং গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের সঙ্গে তোলা ছবিতে পটভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে সম্প্রতি এটি সরিয়ে ‘করম ক্ষেত্র’ নামক নতুন একটি চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দু জানিয়েছে, নতুন ছবিটিও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃশ্য চিত্রিত করেছে।

পুরোনো চিত্রকর্মটি কোথায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিংবা সেটি অন্য কোথাও স্থাপন করা হয়েছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক সেনাসদস্য। উত্তরাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাগ মন্তব্য করেছেন, এটি ভারতের প্রথম বড় সামরিক বিজয়ের স্মারক, যা সরানোর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল মনমোহন সিং টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন, “এই ঐতিহাসিক ছবিটি কেন সরানো হলো? এটি সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে ভারতের সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটির স্মারক হিসেবে শোভা পেত। এখন এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কী?”

উল্লেখ্য, সরানো ছবিটিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজি আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষর করার দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর পাশে ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং যৌথ বাহিনীর অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

এই পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলমান থাকলেও, এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

নাহিদা

×