ছবি: বিবিসি
টাইম ম্যাগাজিন দ্বিতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে "পারসন অব দ্য ইয়ার" ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি এই সম্মাননা পান।
টাইম ম্যাগাজিনের সম্পাদক-ইন-চিফ স্যাম জ্যাকবস তার পাঠকদের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে ট্রাম্পকে "ঐতিহাসিক পুনরুত্থানের নির্দেশক" এবং "এক দশকে একবার ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পুনর্গঠনের চালক" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই পুনর্গঠন মার্কিন প্রেসিডেন্সির কাঠামো পরিবর্তন করেছে এবং বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পুনঃনির্ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ঘণ্টা বাজিয়ে এই সম্মান উদযাপন করেন ট্রাম্প। এ সময় তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং "ইউ-এস-এ" স্লোগানে সমর্থন জানান সমবেত জনগণ।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে তার সমর্থকদের দাঙ্গার ঘটনায় দোষীদের সাজা "কেস-বাই-কেস" পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং পূর্বে ঘোষিত ক্ষমার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্টক এক্সচেঞ্জে ঘণ্টা বাজানোর আগে তিনি একটি "অভূতপূর্ব অর্থনীতি" গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং উল্লেখযোগ্য হারে কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
টাইম ম্যাগাজিনের "পারসন অব দ্য ইয়ার" পুরস্কারটি ১৯২৭ সালে "ম্যান অব দ্য ইয়ার" নামে শুরু হয়। এটি এমন ব্যক্তি বা আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেয় যারা "ভালো বা মন্দ যেকোনো কারণে" বছরের সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।
অতীতে এই পুরস্কারটি গ্রেটা থুনবার্গ, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ, পোপ ফ্রান্সিস এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পেয়েছেন।
২০২৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর "এক বিস্ময়কর রাজনৈতিক পুনরুত্থান" ঘটানোর জন্য ট্রাম্পকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। টাইম ম্যাগাজিন জানিয়েছে, তিনি আমেরিকার ভোটারদের নতুনভাবে সক্রিয় করেছেন, বিশেষ করে তরুণ পুরুষ ভোটারদের, এবং প্রথমবারের মতো জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হয়েছেন।
২০২৪ সালের এই বিজয় তাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট করেছে এবং তাকে প্রথম দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। এর আগে নিউ ইয়র্কের একটি জুরি তাকে ৩৪টি প্রতারণার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
২০১৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের কভার পেতে ব্যর্থ হওয়ার সময় ট্রাম্প বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। সেবার পুরস্কারটি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের কাছে গিয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে "পারসন অব দ্য ইয়ার" হওয়ার পর তিনি এই সম্মানকে "দারুণ গৌরবের বিষয়" বলে অভিহিত করেন।
এম.কে.