ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর পুরোপুরি দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এই দখলের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াই আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতি জানায়, গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, মংডুর পুরো শহর তারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই শহরটিতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের বাস। আরাকান আর্মি দাবি করেছে, তারা মংডুর কাছে জান্তার শেষ ঘাঁটি দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ঘাঁটি দখলে নিতে তাদের দুই মাসের দীর্ঘ যুদ্ধ করতে হয়েছে। এতে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুনসহ কয়েক শ’ জান্তা বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
আরাকান আর্মির একটি প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জান্তা সেনারা আত্মসমর্পণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে সাদা পতাকা হাতে বেরিয়ে আসছেন। যদিও এএফপি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে, মংডু শহরের দখল নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে, মে মাসে আরাকান আর্মি জানিয়েছিল, তারা মংডু থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বুথিডং শহরও দখল করেছে। বর্তমানে, দক্ষিণ রাখাইন রাজ্যের গাওয়া, তাউনগুপ ও আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে তারা। ইতিমধ্যে আন শহরে ৩০টি জান্তা ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মি বর্তমানে মিয়ানমারের শান রাজ্য এবং রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি শহরেও তাদের অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে তারা উত্তরের শান রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চল এবং নভেম্বর থেকে রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৩টি শহর দখল করেছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে আরাকান আর্মি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। একদিকে কিছু রোহিঙ্গা গোষ্ঠী অভিযোগ করছে যে, আরাকান আর্মি তাদের বাড়িঘর লুট করছে এবং জ্বালিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মি এই অভিযোগগুলোকে অপপ্রচার হিসেবে দাবি করছে।
আশিকুর রহমান