ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে (সামনের সারির মাঝে) অন্যান্য জান্তা সেনাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির কাছে আটক অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ছবি: দ্য ইরাবতী
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের দখল নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ সময় কুখ্যাত কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ শত শত সরকারি সেনাকে বন্দি করেছে তারা।
আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, তারা রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের শেষ জান্তা ঘাঁটিটি দখল করে নিয়েছে।
মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত সীমান্ত রক্ষী পুলিশ ব্যাটালিয়ন নম্বর ৫-এর এই ঘাঁটিটি দখল করতে কয়েক মাস ধরে তীব্র লড়াই চলছিল। আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ৫৫ দিনের সংঘর্ষের পর তারা ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়।
ভারি সুরক্ষিত এই ঘাঁটিতে ৭০০ জনের বেশি সেনা, পুলিশ এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) যোদ্ধারা অবস্থান করছিল। সংঘর্ষে ৪৫০ জনের বেশি জান্তা সদস্য নিহত হয় এবং আরাকান আর্মি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে।
এএ জানিয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা যোদ্ধা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
এ অভিযানের মাধ্যমে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
থুরেইন তুন মিয়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মান্দালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া, তিনি রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে জান্তার পক্ষে লড়াইয়ে নিযুক্ত করার অভিযোগে অভিযুক্ত।
জান্তা বাহিনী এখনো মংডু শহরের পতন নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি, যা তাদের জন্য একটি বড় সামরিক পরাজয়।
মেহেদী কাউসার