![পর্যটক সঙ্কট, পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত! পর্যটক সঙ্কট, পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/12-2-2412072140.jpg)
হাওড়া ব্রিজ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানী কলকাতার নিউ মার্কেট, মার্কুইস স্ট্রিট এলাকা গিজ গিজ করত বাংলাদেশের মানুষ। তবে জুলাই মাস থেকে দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ব্যাপক সহিংসতা, কারফিউ এবং শেষে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন—সব মিলে কলকাতায় এখন বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে।
এর একটা বড় কারণ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করেনি। তাই বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা আগে থেকে ভিসা নিয়েছিলেন তারা এবং জরুরি চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসায় দেশটিতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। কলকাতার নিউ মার্কেট, মার্কুইস স্ট্রিট বা মুকুন্দপুর অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই মূলত বাংলাদেশি পর্যটকরা থাকেন, কেনাকাটা করেন। ওইসব এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে বছরজুড়ে।
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী নিউ মার্কেটের শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক গুপ্তা বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় কেউই আসছেন না মাসখানেকের বেশি সময় হয়ে গেল। নিউ মার্কেটের জামাকাপড়ের দোকান বলুন বা অন্যান্য সামগ্রী—এসবের একটা বড় ক্রেতা বাংলাদেশের মানুষ। ভারতীয় ভিসা ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই তারা প্রায় কেউই আসতে পারছেন না। আমাদের বিক্রি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে গত এক মাসে।
তবে নিউ মার্কেটের ব্যবসা কমে যাওয়ার আরও একটা কারণ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। মার্কুইস স্ট্রিট এলাকাটি বহু বাংলাদেশি মানুষের কাছে অতি-পরিচিত এলাকা। কলকাতার কেন্দ্রস্থলের এই এলাকায় বহু হোটেল রেস্তোরাঁ আছে, যারা মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করেই ব্যবসা করে থাকে। এছাড়াও ওই অঞ্চলে মানিএক্সচেঞ্জ, বাসের কাউন্টার-সহ বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রায় সব ধরনের পরিষেবা পাওয়া যায়।
ওই এলাকায় গেলে মনেই হবে না যে এটা ঢাকার বাইরে অন্য কোনও শহরের রাস্তা। তবে জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে বাংলাদেশিদের আসা কমে গিয়েছিল। আর আগস্ট থেকে তা একরকম বন্ধই হয়ে গেছে।
কলকাতা নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ী নেতাদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগ্রহীত
‘‘এখন কেবল মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে মানুষ আসতে পারছেন অথবা আগে থেকে যাদের ভিসা নেওয়া ছিল, তারা আসছেন,’’ বলেন মার্কুইস স্ট্রিটের হোটেল মালিকদের সংগঠনের নেতা মনোতোষ সরকার। আমাদের হোটেলগুলোর ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ অকুপেন্সি রেট ছিল। এখন সেটা নেমে এসেছে মাত্র ৩০ শতাংশে। রুম অকুপেন্সি রেট হল হোটেল ব্যবসার একটি শব্দ; যা হোটেলের মোট কক্ষের সংখ্যার কত শতাংশে মানুষ থাকছেন, তার হিসাব। অর্থাৎ হোটেলগুলোতে ১০০টি কক্ষ থাকলে এখন মাত্র ৩০টি কক্ষে পর্যটক থাকছেন।
শহীদ