ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ সম্প্রতি দাবি করেছে, ‘বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে’। একই ভিডিওটি নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রচার করেছে আরটি ইন্ডিয়া। তবে ভিডিওটির সঙ্গে প্রতিমা ভাঙচুরের কোনো সম্পর্ক নেই, এবং এটি বাংলাদেশেরও নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও কিছু এক্স ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওর বিষয়ে দাবি করা হচ্ছে, "বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা হিন্দু মন্দিরে হামলা করছে, প্রতিমা ভাঙচুর করছে।"
তবে এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আরটি ইন্ডিয়ার এই ভিডিওটি ফ্যাক্ট চেক করেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন)-অনুমোদিত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বিওওএম (বুম)। তারা জানিয়েছে, ভিডিওটি আসলে ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার। ভিডিওতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে, তা সাম্প্রদায়িক কোনো কর্মকাণ্ডের নয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সুলতানপুর পূজা কমিটির সদস্যরা বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, গত ২৬ নভেম্বর, হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসরণ করে সেখানকার একটি মন্দিরে মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি একটি কালী মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলছেন। সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা সতর্কতার সঙ্গে মূর্তির মাথা ভাঙার নির্দেশনা দেন।
গত ২৫ নভেম্বর, ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ সুলতানপুরের কিরণময়ী পাঠাগার এবং গ্রামবাসীরা ১২ বছর অন্তর ঐতিহ্যবাহী কালীমাতা নিরঞ্জন আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে সুলতানপুরের মণ্ডলবাড়িতে কালীমাতার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
অতএব, ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্যকে বাংলাদেশের মুসলিমদের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
নুসরাত