ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আদানির থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেক কমালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আদানির থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেক কমালো বাংলাদেশ

ভারতের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎক্রয় অর্ধেক কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।

গত সোমবার এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এ গ্রুপের কাছে বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ বকেয়া জমার কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছিল আদানি গ্রুপ।

ধারণা করা হচ্ছে, বকেয়া অর্থের বোঝা আরও না বাড়ানোর জন্যই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বর্তমানে বিদ্যুত চাহিদা কমায়, বিদ্যুৎ ক্রয়ও কমেছে।

বিআরডিবির চেয়ারপারসন মো. রেজাউল করিম বলেন, “আদানি প্রথম যখন বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দিলো, আমাদের কাছে সেটি ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। আমরা তাতে ক্ষুব্ধও হয়েছিলাম।

তবে এখন যেহেতু শীতের মৌসুম, আবহাওয়াগত কারণেই সময় বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা খানিকটা হ্রাস পায়। তাই আমরাও বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছি।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় বিষয়ক চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। ২৫ বছর মেয়াদী সেই চুক্তির শর্ত মেনে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম একটি তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি গ্রুপ।

আদানি ছাড়াও ভারতের আরও কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে বাংলাদেশ। সেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ দশমিক ৫৭ টাকা দরে কেনা হয় বিদ্যুৎ। অন্যদিকে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়, তার প্রতি ইউনিটের মূল্য ১৪ দশমিক ৮৭ টাকা।

প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ বাংলাদেশের সরকারকে ব্যয় করতে হয় হাজার ২০০ কোটি টাকা।

আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটির মোট পাওনা ছিল ৯০ কোটি ডলার। আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পাওনা অর্থের কিছু অংশ পেলেও অনেক বকেয়া রয়ে গেছে।

তানজিলা

×