ছবিঃ ভ্লাদিমির পুতিন
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেট অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যা রাশিয়ার এই বছরের মোট বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ।
গত শনিবার এই বাজেট প্রকাশিত হয়। জাতীয় প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়া মোট ১২৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে, যা মোট সরকারি বাজেটের ৩২.৫%। গত বছরের তুলনায় এই বাজেট ২৮ বিলিয়ন ডলার বেশি।
নতুন তিন বছরের বাজেট পরিকল্পনায় ২০২৬ এবং ২০২৭ সালের সামরিক ব্যয়ে সামান্য হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উভয় কক্ষে বাজেটটি পাশ হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। বর্তমানে রাশিয়া কুর্স্ক অঞ্চলকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে, যেটি এই বছর রাশিয়া থেকে ইউক্রেন দখল করছে।
যদিও পশ্চিমা মিত্র থেকে ইউক্রেন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাচ্ছে, তবুও ইউক্রেন জনশক্তি এবং বস্তুগত কারনে যুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট থেকে কেমন সাহায্য আসতে পারে, সেই বিষয়টি অনিশ্চিত।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রচুর অস্ত্র, বারুদ এবং জনশক্তি থাকলেও যুদ্ধের চাপ সামলাতে গিয়ে অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত দুইবছরে রাশিয়া প্রচুর পরিমাণে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। ফলে রাশিয়ার অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি, শ্রমিক সংকট সহ বিভিন্ন অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২১% বৃদ্ধি করেছে যা এই দশকের সর্বোচ্চ হার।
অন্যদিকে ইউক্রেন তার মিত্রদের থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা পাচ্ছে। গত সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনের জন্য ৬৮৪ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা করেন।
রাশিয়ার জনসংখ্যা ইউক্রেনের তুলনায় অনেক হলেও এটি যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্ত সৈন্য পাচ্ছে না, ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সর্বশেষ রাশিয়ান সরকার নাগরিকদের মিলিটারি সার্ভিসের আহবান করলে শত শত জনগন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তবে উত্তর কোরিয়া প্রচুর সৈন্য প্রেরণ করেছে রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নভেম্বরে বলেন, রাশিয়ার কুরুস্কে প্রায় ১১ হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে আঘাত হানা রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের এক-তৃতীয়াংশ উত্তর কোরিয়ার তৈরি।
যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সাহায্য রাশিয়াকে কিছুটা উপকার করলেও বস্তুগত ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া রাশিয়ার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াবে।
তানজির