রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশ সামরিক বাজেট হিসেবে বরাদ্দ করেছে।
গত রবিবারে প্রকাশিত ২০২৫ সালের বাজেটে জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য ১২৬ বিলিয়ন ডলার (১৩.৫ ট্রিলিয়ন রুবল) বরাদ্দ করেছে, যা সরকারের মোট ব্যয়ের ৩২.৫%। এই প্রতিরক্ষা বাজেটটি পূর্ববর্তী রেকর্ডের চেয়ে প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার বেশি।
নতুন তিন বছরের বাজেটে ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে সামান্য সামরিক ব্যয় কমানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে আইনপ্রণেতারা বাজেটটি অনুমোদন করেছেন।
রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মস্কো বর্তমানে প্রধান কিছু ফ্রন্টলাইন অঞ্চলে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং কুরস্ক অঞ্চলে একটি পাল্টা আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে, যা এই বছর কিয়েভের একমাত্র বড় সামরিক সাফল্য।
ইউক্রেন সব সময়ই সম্পদ এবং জনশক্তির দিক থেকে পিছিয়ে ছিল, তবে পশ্চিমী মিত্রদের কাছ থেকে সে বিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে।
তবে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকবে তা আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর স্পষ্ট হবে।
এদিকে, রাশিয়ার কাছে আরো অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং লোকবল রয়েছে – তবে তার অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার উপর চাপ বাড়ছে।
গত দুই বছরে রাশিয়া তার সামরিক ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে এবং তার অর্থনীতি এখন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে: মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং কোম্পানিগুলো কর্মী সংকটের মুখোমুখি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক অক্টোবর মাসে ২১% সুদহার বৃদ্ধি করেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তানজিলা