মাহমুদ আব্বাস
ফিলিস্তিনী রাজনীতির অঙ্গনে মাহমুদ আব্বাসের প্রভাব আজও অবিচ্ছিন্ন, এবং এই শক্তি অব্যাহত রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও অনুসারীদের মাধ্যমে। ফাতাহ দলের প্রধান আব্বাস, যা ফিলিস্তিনের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এখনও দলের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখেছেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদ শূন্য হলে সাময়িকভাবে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে রুহি ফাত্তুহকে মনোনীত করা হয়েছে। বুধবার এক ডিক্রিতে আব্বাস ঘোষণা করেন, পিএলওর পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিষদের (পিএনসি) চেয়ারম্যান রুহি ফাত্তুহ ৭৫ বছর বয়সে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
৮৯ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৯ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি উত্তরসূরি বা ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগের চাপ দীর্ঘদিন ধরে এড়িয়ে আসছিলেন।
বর্তমান ফিলিস্তিনি আইনে, প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে ফিলিস্তিনি আইনসভা পরিষদের (পিএলসি) স্পিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে ২০১৮ সালে আব্বাস আনুষ্ঠানিকভাবে পিএলসি বিলুপ্ত করেন। এর আগে, ২০০৭ সালে গাজায় হামাস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার দল ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
ডিক্রিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে এবং আইনসভা পরিষদ না থাকলে, পিএনসি সভাপতি সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিক্রি অনুযায়ী, ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তবে জরুরি পরিস্থিতি থাকলে এই সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
পিএনসি হলো ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগঠনের (পিএলও) পার্লামেন্ট, যার ৭০০ এর বেশি সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ সরাসরি নির্বাচিত নয়, বরং নিয়োগপ্রাপ্ত।
ডিক্রিতে এই সময়কে ‘জাতীয় স্বার্থ ও ফিলিস্তিনি ইস্যুর ইতিহাসে একটি সংকটপূর্ণ অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় এই ডিক্রি জারি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বর্তমানে গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। তারা সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। এরই মধ্যে ইসরায়েলের ডানপন্থি নেতারা দখলকৃত পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ সংযুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
শিহাব