ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গাজায় সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকসমূহ

প্রকাশিত: ১৩:২২, ৩০ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৩:২২, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

গাজায় সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকসমূহ

গাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অনেক মুসলিম দাতব্য সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই গত বছর ধরে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত, তাদের সঙ্গে কাজ করা ব্যাংকগুলো আর মুসলিম পরিচালিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না।
গাজায় সাহায্য পাঠানোর জন্য কাজ করা অনেক সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চগুড (LaunchGood)-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা আমানি কিলাওয়ি বলেন, “ব্যাংকগুলো মনে করে মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করলে তাদের খারাপ প্রচারণার শিকার হতে হবে। এটি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “যখন কোনো মুসলিম সংস্থা ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে, তখন তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা স্থগিত করার সম্ভাবনা বাড়ে। কেউ হয়তো এমন ধারণা পোষণ করে যে মুসলিমদের সঙ্গে কাজ করলে ঝুঁকি বাড়বে।”

লঞ্চগুড ছাড়াও, অন্যান্য মুসলিম পরিচালিত দাতব্য সংস্থাগুলোও এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্য ইলহান ওমর বলেন, “মুসলিম এবং অভিবাসীদের মালিকানাধীন ব্যবসাগুলো ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি একটি বড় সমস্যা। এই বৈষম্যমূলক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।”

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন মুসলিমরা সাধারণ জনগণের তুলনায় ব্যাংকিং সমস্যায় দ্বিগুণ বেশি ভোগেন। এ সমস্যাগুলো বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক লেনদেনের সময় ঘটে।
মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলো তাদের আর্থিক সেবা অব্যাহত রাখতে নতুন পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছে। লঞ্চগুড এখন নিজস্ব পেমেন্ট প্রসেসর “পেগুড” তৈরি করার পরিকল্পনা করছে।

তবে বিষয়টি সহজে সমাধান হবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। রাজনৈতিক প্রভাব এবং বৈষম্য দূর করতে মুসলিম কমিউনিটি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

নাহিদা

×