ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চান ৬০ ব্রিটিশ এমপি

প্রকাশিত: ০৮:১০, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চান ৬০ ব্রিটিশ এমপি

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাজ্যের ৬০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে একটি চিঠি লিখেছেন। তারা ইসরাইলের অবৈধ বসতিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ এমপি রিচার্ড বারগন ও ইমরান হুসাইনের উদ্যোগে চিঠিটি পাঠানো হয়। চিঠিতে সই করেছেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন, গ্রিন পার্টির সহনেতা কার্লা ডেনিয়ার, লেবার, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, প্লেড কেমরি এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির বেশ কয়েকজন এমপি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) একটি মতামত প্রকাশ করে জানায় যে, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখল অবৈধ এবং এটি যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করা উচিত’। আইসিজে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রকে এই অবৈধ দখলদারিত্বকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার এবং ইসরাইলকে কোনো ধরনের সহায়তা না করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা বাড়তে থাকছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা জোরদার করার পর অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের ট্যাংকগুলো গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও গভীরে প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য ও পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। গাজার অধিকাংশ পানির উৎস পান করার উপযুক্ত নয়। পরিবারগুলোর কাছে শেল্টার নেই, তারা খোলা জায়গায় বসবাস করছে। আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজুম গাজার মধ্যাঞ্চল থেকে জানান, অনেক পরিবার পানি ও খেজুর খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান ও গোলাবর্ষণের ফলে তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পরিবার সদস্যরা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এই চিঠি ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা ফিলিস্তিনের মানবাধিকার রক্ষার জন্য আরও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলছে।

নুসরাত

×