সংগৃহীত ছবি।
পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ একটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নেতাকর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে গুলির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জিও টিভি সূত্রে জানা গেছে, ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে ব্যাপক পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এর পাল্টা হিসেবে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। যাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীকে ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামো রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে বিক্ষোভকারীরা সেগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে। তবে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করার জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি। তারা মূলত অবকাঠামো রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার ডি-চক থেকে জানান, সেখানে কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সদের 'স্বয়ংক্রিয় রাইফেল' ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তিনি আরও জানান, ডি-চকে এতো বেশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে যে সেখানে 'পাতলা গ্যাসের মেঘ' তৈরি হয়েছে।
সেখানে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত জানিয়ে কামাল হায়দার বলেন, "কাঁদানে গ্যাস কিংবা গুলি ছোড়া হলে বিক্ষোভকারীরা নিচে পড়ে যাচ্ছে, তবে তাদের মনোবল এতটাই দৃঢ় যে, তারা আবারও উঠে দাঁড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামাবাদে বর্তমানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।"
তিনি আরও জানান, "আমরা বেশ কিছু আহত বিক্ষোভকারীকে নিয়ে যেতে দেখেছি। তাদের অভিযোগ, অনেকেই আহত হয়েছে, তবে তারা আন্দোলন থামানোর কোনও পরিকল্পনা করছে না। ধারণা করা হচ্ছে, ডি-চকে আরও মানুষ আসবে এবং এটি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে।"
নুসরাত