ভারতের উত্তরপ্রদেশের সামভালে মুঘল আমলের একটি প্রাচীন মসজিদে সমীক্ষা করানোর নির্দেশকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় তীব্র সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন মুসলিম নিহত হয়েছে।
আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দু এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, সেখানে ইন্টারনটে পরিষেবা বন্ধ করে সকল স্কুল একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিহত তিনজনের নাম নাঈম, বিলাল ও নোমান।
আরও জানা যায়, এ সহিংসতায় আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য।
হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর দাবি, এই ‘শাহী জামা মসজিদ’ প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছিল, ওই ভবনের স্থাপত্যে এখনও তার প্রমাণ রয়েছে।
গত রবিবার বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। অন্যদিকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এদিকে হিন্দু মন্দির ভেঙে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে সেটাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসিলম গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আদালতে আইনি লড়াইও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি আদালত ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে সার্ভে করানোর নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।
ওই মসজিদ ভবনটিতে আগে কোনও হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল কি না, সেটা যাচাই করে দেখার জন্যই ওই সার্ভের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সামভালের পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার সকালে প্রশাসনের একজন ‘অ্যাডভোকেট কমিশনারে’র নেতৃত্বে একটি সার্ভে টিম মসজিদে তাদের কাজ শুরু করতেই বাইরে বিরাট জনতা জড়ো হয়ে যায় এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সহিংসতা শুরু হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মুঘল আমলে একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির ভেঙে এই জামা মসজিদ নির্মিত হয়েছিল এবং এখন তা হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে– এই দাবি নিয়ে একদল আবেদনকারী আদালতের শরণাপন্ন হলে এই সার্ভের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তানজিলা