ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ইউক্রেন

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ইউক্রেন

রাশিয়ার কুরস্কে দখল করা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে অঞ্চলটির ৪০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণের মুখে এটি ঘটছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। দেশটির ঊর্ধ্বতন এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, আগস্ট মাসে কুরস্কে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৩৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় কিয়েভ। তবে এখন এর পরিমাণ ৮০০ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে। খবর আরটির।
এদিকে ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে রাশিয়া যে বিমান হামলা চালিয়েছে যে সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেÑ সচরাচর যেমন বিমান হামলা হয় ওই হামলা সে রকম ছিল না। হামলার পর বিস্ফোরণ ঘটে, যা স্থায়ী হয়েছিল তিন ঘণ্টা। বিমান হামলায় সেদিন রাশিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এ ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পরে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, সেটি ছিল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। পশ্চিমা কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই এমন হামলা হওয়ার কথা নাকচ করেছিলেন। তাদের ভাষ্য ছিল, এ ধরনের (আইসিবিএম) হামলা চললে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যেত। ইউক্রেনে ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জাতির উদ্দেশে এক টিভি ভাষণে ক্ষেপণাস্ত্রটি কী ধরনের ছিল তা স্পষ্ট করে জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনে নতুন প্রচলিত মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার কোডনাম ওরেশনিক। এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য ইয়েমেন থেকে শত শত লোককে নিয়োগ দিচ্ছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনি যুবকদের কাজ দেওয়ার কথা বলে প্রথমে রাশিয়ায় আনা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। যেখানে তাদের অনেকটা জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং সামনের সারিতে যুদ্ধে পাঠানো হয়। নিয়োগকারীরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি হুতি সমর্থিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইয়েমেনি যুবকদের রাশিয়া পাঠায়। তাদের উচ্চ বেতন, রাশিয়ার নাগরিকত্ব এবং কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। রবিবার তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী শনিবার রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার ছোড়া ৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৫০টি ভূপাতিত করেছে। গেল এক বছরে রুশ মিসাইল ও ইরান নির্মিত শাহেদ ড্রোনের আঘাতে ইউক্রেনের ৩২১টি বন্দরের অবকাঠামো এবং ২০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগেই কুরস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে পুতিন আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের বের করে দিতে চান। তার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

×