পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় আরও ২১ জন নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের এই প্রদেশে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন সহিংসতায় এই ঘটনা ঘটে। গত তিন দিনের সহিংসতায় দেশটির বর্তমান মৃতের সংখ্যা ৬৪ জন।
আজ রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই সহিংসতার সময় প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মুখ্য সচিব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা এই স্থানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তাদের মতে, সংঘাতের সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গুলিবর্ষণ করে, সরকারি বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর করে, মার্কেটে দোকানপাট লুট করে এবং চেকপয়েন্ট, বাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে ব্যাপক গোলাগুলিতে ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলো নারী ও শিশুসহ অনেককে জিম্মি করেছে এবং নিহতদের লাশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করছে।
খাইবারপাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ বলেন, জিম্মিদের মুক্তি এবং মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধারের জন্য আলোচনা চলছে। হামলার কারণে স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে থাল ও হাঙ্গুর নিকটবর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার কুররাম জেলায় পুলিশি পাহারায় ভ্রমণের সময় শিয়া মুসলিমদের দুটি যাত্রীবাহী ভ্যানে হামলা চালায় সশস্ত্র বন্দুকধারীরা। এই হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন।
বৃহস্পতিবারের ওই হামলার প্রতিশোধে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিয়া মুসলমানরা কুররাম জেলার সুন্নি অধ্যুষিত কয়েকটি স্থানে হামলা চালান।
অতীতে খাইবারপাখতুনখাওয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
তানজিলা