ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অভিষেকেই বাজিমাত প্রিয়াঙ্কার

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অভিষেকেই বাজিমাত প্রিয়াঙ্কার

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

অভিষেকেই বাজিমাত। জীবনে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ভারতের কেরল রাজ্যের ওয়েনাডে ভাই রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়েন দলটির জনপ্রিয় মুখ প্রিয়াঙ্কা। শনিবার  প্রকাশিত ফলে সিপিএম-বিজেপির দুই প্রার্থীকে ধরাশায়ী করেন তিনি। সর্বশেষ ফলে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে চার লাখের বেশি ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। অবশ্য গত লোকসভায় ভাই রাহুল গান্ধী এই আসনে সাড়ে তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। 
জয়ের খবরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রিয়াঙ্কা লিখেন, ‘আমার ওপর ওয়েনাডবাসী ভরসা রেখেছেন। আমি সত্যিই অভিভূত। এই জয় আপনাদের। আপনাদের আশা আকাক্সক্ষার কথা পার্লামেন্টে তুলে ধরার চেষ্টা করব।’
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে দুই আসন থেকে লড়েছিলেন রাহুল। একটি হলো রায়বেরিলি এবং অন্যটি ওয়েনাড। নির্বাচনের পর একটি আসন ছেড়ে দেন রাহুল।
ভোট গণনা শুরু হতেই এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন কংগ্রেস নেতারা। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি লিখেন, ভোট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আশা করি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রেকর্ড ভোটে জিতবেন। বিশাল ব্যবধানে জিতে লোকসভায় অভিষেক হবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। অবশেষে তাই হলো। প্রিয়াঙ্কার জয় নিয়ে কখনো কোনো সংশয় ছিল না। তবে আগ্রহ ছিল, রাহুলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বেশি ব্যবধানে তিনি জেতেন কি না।

শনিবারের গণনায় দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা তার দুই নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৪ লাখের বেশি ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন। ওয়েনাড ছাড়াও লোকসভার উপনির্বাচন হয় মহারাষ্ট্রের নানদেদ আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী চবন বসন্তরাও বলবন্তরাওয়ের মৃত্যুর জন্য উপনির্বাচন হয়। বিকেল চারটায় দেখা যায়, কংগ্রেস প্রার্থী চবন রবীন্দ্র বসন্তরাওকে ২ হাজার ভোটে পিছিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সান্তুকরাও হামবরদে।
লোকসভা ছাড়াও ভোট হয় ১৪ রাজ্যের ৪৭ বিধানসভা আসনের। রাজ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উত্তর প্রদেশের ৯ আসনের উপনির্বাচন। ওই রাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপির ফল খুব খারাপ হয়েছিল। ফলে যোগী প্রশাসনের কাছে এই উপনির্বাচন ছিল চ্যালেঞ্জের। ৯ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল ৫টি, সমাজবাদী পার্টির ৩টি এবং ১টি ছিল আরএলডির দখলে। বিকেল পর্যন্ত গণনায় দেখা যাচ্ছে, জেতা আসন ধরে রাখার পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে একটি আসন বিজেপি ছিনিয়ে নিতে চলেছে। পাঞ্জাবে উপনির্বাচন ছিল ৪ আসনে। সেখানে ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি, ১টিতে কংগ্রেস। কর্ণাটকে ৩ আসনে কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে ৩ আসনই কংগ্রেস জিতেছে। তবে অসমে কংগ্রেস তার একটি জেতা আসন হারিয়েছে। ওই রাজ্যের ৫ আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
বিহারের ৪ আসনও গেছে এনডিএর দখলে। যদিও বিজেপিশাসিত রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস একটা করে আসন জিতেছে। উত্তরাখন্ড, ছত্তিশগড় ও গুজরাটে একটি করে আসনে ভোট ছিল। ওই তিন বিজেপিশাসিত রাজ্যের তিন আসনই বিজেপি দখলে রেখেছে। কেরলের দুই আসনের একটি জিতেছে কংগ্রেস, অন্যটি সিপিএম। বিজেপি প্রবল ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে ৬ আসনের উপনির্বাচনের সব কটিই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জেতা একটি আসন তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। বোঝা গেল আর জি কর হাসপাতালের ঘটনাবলি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটবাক্সে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

×