ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আদানি গ্রুপের ঘুষের অভিযোগ কি ভারতের অর্থনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে?

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২২ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১২:৫৮, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আদানি গ্রুপের ঘুষের অভিযোগ কি ভারতের অর্থনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে?

গৌতম আদানি, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান, সম্প্রতি ট্রাম্পের নির্বাচনী জয়ে উল্লাসিত হয়ে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, এখন তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঘুষের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা তার ব্যবসায়িক ভবিষ্যেতকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।মার্কিন আইনজীবিরা অভিযোগ করেছেন যে, আদানি এবং তার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০ বছরের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার লাভের জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিলেন এবং সেই ঘুষের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ আদানি অস্বীকার করেছে, এবং এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে।

এখন পর্যন্ত এই অভিযোগ ভারতের অর্থনীতি এবং আদানি গ্রুপের জন্য অনেক বিপদজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে একদিনেই আদানি গ্রুপের ৩৪ বিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে।

আদানি গ্রুপের ব্যবসাগুলো ভারতের অর্থনীতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তারা ১৩টি বন্দর, ৭টি বিমানবন্দর এবং ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট ব্যবসার মালিক। এছাড়া, তাদের ছয়টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বৃহত্তম ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ খাতের অংশীদার।

এদিকে, আদানি এবং মোদির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আদানি গ্রুপের প্রকল্পগুলো মোদির সরকারের নীতিকে সমর্থন করে, বিশেষ করে অবকাঠামো এবং পরিষ্কার শক্তির দিকে। এ ধরনের ঘুষের অভিযোগ ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই অভিযোগ আদানির বৈশ্বিক ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। কেনিয়া ও বাংলাদেশে বিমানবন্দর অধিগ্রহণের চেষ্টাও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

রাজনৈতিকভাবে, কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী আদানির গ্রেপ্তারের দাবিতে সংসদে আন্দোলন করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "ভারতীয় সরকার কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়াটা নতুন কিছু নয়, কিন্তু যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে তা অবিশ্বাস্য।"

এখনো পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব খুব বেশি পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। 

নাহিদা

×