এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ছিল চীনা নাগরিক।
কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের সোমবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৯ সালের মধ্যে গত শিক্ষাবর্ষে ভারত থেকে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো চীনকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে আমেরিকায় ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শিক্ষার্থী হ্রাসের কারণ শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা, বর্ণবাদ ,বৈষম্য এবং অভিবাসন সমস্যা সম্পর্কে উদ্বিগ্নতা। অন্যান্য দেশে সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও এই সংখ্যা কমেছে।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন কনটেম্পোরারি চায়না অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ডের গবেষক ম্যালি প্রিথার্চ বলেন, আমেরিকায় অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থী এবং চীনে অধ্যয়নরত আমেরিকান শিক্ষার্থী উভয়ের সংখ্যাই কমছে।
২০০০ এর শেষের দিকে এবং ২০১০ এর শুরুর দিকে চীনা শিক্ষার্থীরা প্রথম বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া শুরু করে।
১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে শুরু হওয়া 'উন্মুক্তকরণ' উদ্যোগের কারণে সে সময় চীন দ্রুত একটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০৯ সালে প্রায় ৯৮ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে রেকর্ড ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম প্রেসিডেন্ট হন, তখন থেকেই মনোভাব বদলাতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক তলানিতে নামে।
২০২০ সালে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় এক হাজারের বেশি চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন দায়িত্ব নেন, তখন ট্রাম্প-আমলের অনেক নীতিই বহাল রাখা হয়েছিল, যার ফলে চীনের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।
মহামারী চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং তারপর থেকে আর ফিরে আসেনি।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের গবেষণা প্রধান মিরকা মার্টেল সোমবার সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, 'গত তিন বছরে চীন থেকে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ে।
তানজিলা