এক্স ছেড়ে ব্লুস্কাইয়ে ঝুঁকছেন ব্যবহারকারীরা
এক্স ছেড়ে দলে দলে ব্যবহারকারীরা ঝুঁকছেন একই ধরনের সামাজিক মাধ্যম ব্লুস্কাইয়ে।
বিশেষ করে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক্সের মতো এই সামাজিক মাধ্যমটি। নির্বাচনের শেষ সপ্তাহে বিপুল সংখ্যক এক্স ব্যবহারকারী ইলন মাস্কের সোশ্যাল প্লাটফর্মটি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ব্লুস্কাইয়ে।
অনেক ব্যবহারকারী নিজেদের এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যের কারণ হিসেবে বলেছেন, ইলন মাস্কের জন্যই তাদের এক্স ছাড়ার সিদ্ধান্ত। তাদের ভাষ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এক্সে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ‘ব্যাপকভাবে’ প্রচারণা চালানো হয়। যার ফলে অনেক ব্যবহারকারী সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে সাবেক টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির ব্লুস্কাইয়ে যোগ দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরুর পর জ্যাক ডরসির ব্লুস্কাই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যমটি তাদের ‘পরিবার’ ১৯ মিলিয়নে পৌঁছানোর বিষয়ে জানিয়েছে। এরমধ্যে আছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিন ছাড়াও ট্রেজারি মন্ত্রী ড্যারেন জোনসসহ বেশকিছু রাজনীতিবিদ।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও ‘রাজনৈতিক ভাষণের জায়গা’ আখ্যা দিয়ে এক্সে পোস্ট না করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ যখন ব্লুস্কাইয়ের দিকে ঝুঁকছে, ঠিক তখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এখনই সামাজিক মাধ্যমটিতে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।
ব্রাজিলে জি-২০ সামিটে এমন স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, এখনই ব্রিটিশ সরকার বা ব্যক্তিগতভাবে ব্লুস্কাইয়ে যোগ দেয়ার ‘কোনো পরিকল্পনা’ নেই। সেই সঙ্গে এক্সে থাকার ঘোষণা দিয়ে স্টারমার বলেছেন, সরকারের কাছে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমরা অবশ্যই এখনো এক্স ব্যবহার করছি।
তাসমিম