ব্রিটিশ মিউজিয়াম সম্প্রতি চীনা সিরামিকের একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহ উপহার পেয়েছে
ব্রিটিশ মিউজিয়াম সম্প্রতি চীনা সিরামিকের একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহ উপহার পেয়েছে। এটি এই জাদুঘরের ইতিহাসে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু। স্যার পার্সিভাল ডেভিড ফাউন্ডেশনের উপহার দেওয়া এই সংগ্রহের দাম প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড। এগুলো এক হাজার ৭শ চাইনিজ শিল্পকর্মের সমন্বয়ে গঠিত।স্যার পার্সিভাল ডেভিড ছিলেন বিখ্যাত চীনা শিল্প সংগ্রাহক। ১৯৬৪ সালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে ইউরোপ, জাপান, হংকং ও চীন থেকে এসব সংগ্রহ করেন তিনি। স্যার পার্সিভাল ডেভিড ফাউন্ডেশন তার মৃত্যুর পর থেকে এই সংগ্রহ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের কাজ করে আসছে।
সংগ্রহটি ২০০৯ সাল থেকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ধার হিসেবে প্রদর্শন করা হচ্ছিল। তবে এখন উপহার হিসেবে পেল। এটি বর্তমানে মিউজিয়ামের বিশেষভাবে ডিজাইন করা দ্বিভাষিক কক্ষ ৯৫-এ রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের পরিচালক ড. নিকোলাস কালিনান বলেন, এটি বিরল ও দামি এক ব্যক্তিগত সংগ্রহ। উপহার পাওয়া দামি এই সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে ১৩৫১ সালের ডেভিড ভেজ, যা চাইনিজ নীল এবং সাদা সিরামিকের তারিখ নির্ধারণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। এ ছাড়া চেংহুয়া সম্রাটের জন্য ব্যবহৃত একটি মোরগ আঁকা কাপ এবং রু ওয়্যারও সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে। এই উপহারের ফলে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে চাইনিজ সিরামিকের সংগ্রহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজারে, যা বিশ্বের বাইরের চাইনিজ ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম।
স্যার পার্সিভাল ডেভিড ১৮৯২ সালে ভারতের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার কাছ থেকে পারিবারিক ব্যবসার মালিকানা লাভ করেন তিনি। পার্সিভাল ডেভিড ১৯১৪ সালে লন্ডনে চলে যান। যেখানে চাইনিজ শিল্পকলা ও বই সংগ্রহ শুরু করেন। ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টিরা জানিয়েছেন, স্যার পার্সিভাল ডেভিড চেয়েছিলেন তার সংগ্রহটি মানুষকে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণা দিক। তার চাওয়া অবশেষে পূরণ হলো। ড. কালিনান বলেন, ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টিরা যে উদারতা দেখিয়েছেন, তাতে আমি মুগ্ধ। এই ঐতিহাসিক বস্তুগুলো আমাদের সংগ্রহে একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। এগুলো বিশ্বজুড়ে গবেষক, শিক্ষাবিদ ও দর্শনার্থীদের জন্য চাইনিজ কারিগরির সেরা উদাহরণগুলোর গবেষণা ও উপভোগের সুযোগ দেবে। -বিবিসি অবলম্বনে