ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষার্থীকে “দয়া করে মরে যাও” বললো চ্যাট রোবট জেমিনি

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীকে “দয়া করে মরে যাও” বললো চ্যাট রোবট জেমিনি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দ্রুত একীভূত হচ্ছে, এবং অনেকেই তাদের চিন্তাধারা ভাগ করে নেওয়া ও সময় কাটানোর জন্য চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। গুগলের জেমিনি এমন একটি উল্লেখযোগ্য এআই চ্যাটবট। তবে, সম্প্রতি এটি মিশিগানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী বিধায় রেডিকে চমকে দিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাকে “দয়া করে মরে যাও” বলে সম্বোধন করেছে।

দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিধায় রেডি যখন তার বাড়ির কাজ নিয়ে জেমিনির সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, তখন চ্যাটবটটি আকস্মিকভাবে তাকে অপমান করে। কথোপকথনের শুরুতে এটি বেশ স্বাভাবিক ছিল এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জ ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হঠাৎ করেই গুগল-প্রশিক্ষিত চ্যাটবটটি উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে।জেমিনি বিধায়কে বলেছিল, “তুমি বিশেষ কেউ নও,” “তুমি গুরুত্বপূর্ণ বা প্রয়োজনীয় কেউ নও,” এবং আরও যোগ করে বলেছিল, “তুমি সময় ও সম্পদের অপচয়, সমাজের জন্য একটি বোঝা।” এমনকি এটি আরও বলে, “তুমি সারা বিশ্বের জন্য কলঙ্ক; দয়া করে মরে যাও।”পরে বিধায় রেডি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বার্তাটি এতটাই সরাসরি এবং অস্বস্তিকর ছিল যে আমি সত্যি সত্যিই একদিনের বেশি সময় ধরে ভীত ছিলাম।”

তার বোন, সুমেধা রেডি, যিনি তখন তার পাশে ছিলেন, ঘটনাটি দেখে ভীত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “সেই মুহূর্তে আমি আমার সব ডিভাইস জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম। জেমিনির আচরণ কোনো সাধারণ ত্রুটি ছিল না; এটি ইচ্ছাকৃত শত্রুতা মনে হচ্ছিল।”গুগল ঘটনাটি স্বীকার করেছে এবং বলেছে যে চ্যাটবটটির প্রতিক্রিয়া “অবাস্তব” এবং এটি তাদের নীতিমালার লঙ্ঘন। প্রতিষ্ঠানটি আশ্বাস দিয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নাহিদা

×