ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বাইডেন। এর ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে যাচ্ছে।
মার্কিন একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এলো।
বিগত কয়েক মাস থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ ভূখণ্ডের গভীরে এমন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাচ্ছিলেন। শেষমেশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষের দুই মাস আগে এমন সংকেত দিলেন বাইডেন।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছিলেন যে এমন পদক্ষেপ মানে ন্যাটো মিত্র জোট সরাসরি ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিলো।তবে বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি পুতিন।
এদিকে বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাশিয়ার উচ্চকক্ষের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম উপ-প্রধান ভ্লাদিমির জাবারভ বলেছেন, ওয়াশিংটনের কিয়েভকে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত "তিন বিশ্বযুদ্ধের" দিকে নিয়ে যেতে পারে।
সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলেছে, রুশ ভূখণ্ডের গভীরে ইউক্রেন প্রথম হামলা সম্ভবত এটিএসিএমএস রকেট দিয়ে চালাবে। এসব রকেট ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
কিয়েভ-ভিত্তিক ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সেরহি কুজান বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বাইডেনের এমন সিদ্ধান্তে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টানা ৯৯৭ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত।
তবে ক্ষমতা নেওয়ার পর ট্রাম্প বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনকে যে পরিমাণে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে সেটার সমালোচনা করে আসছিলেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে নিমিষেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
আর কে