ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভিয়েতনামে মিললো কমলা-টিপযুক্ত নতুন প্রজাতির কুমির 

তাসমিম সুলতানা

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৭ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২২:১৮, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ভিয়েতনামে মিললো কমলা-টিপযুক্ত নতুন প্রজাতির কুমির 

কমলা-টিপযুক্ত নতুন প্রজাতির কুমির 

একটি নতুন প্রজাতির কুমির, নাম তার নিউট।  কাও ব্যাং কুমির নিউট ভিয়েতনামে আবিষ্কৃত হয়েছে। কালো, কমলা-টিপযুক্ত নিউটগুলি প্রায় পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এবং পাহাড়ের বনে বাস করে। 

গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, প্রজাতিটি মানুষ দ্বারা হুমকির সম্মুখীন এবং ভিয়েতনামী আইনের অধীনে কুমিরগুলি সুরক্ষিত হবে।

গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে,  ডিএনএ বিশ্লেষণের পর,গবেষকরা নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন।  যাকে নাম টাইলোটোট্রিটন কোলিয়ানসিস বা কাও।

চিড়িয়াখানার একটি  জার্নালে এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে,  এটি একটি ব্যতিক্রমী আবিষ্কার এবং গবেষক ট্রুং মাই ফুং,গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।  তিনি বলেছেন,  এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোট ৩৮ টি প্রজাতি যার মধ্যে ছয়টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে আরও গভীরভাবে গবেষণা করার জন্য।  

#চেহারা

কাও ব্যাং কুমির নিউটগুলি মাঝারি আকারের এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৫-ইঞ্চি।  কুমিরের রুক্ষ ত্বকের সাথে শক্ত দেহ রয়েছে গাঁট বা আঁচিলের মত। কুমিরের মাথা বড় এবং তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনেক লম্বা এবং পাতলা। এই নতুন পাওয়া প্রজাতিটি সম্পূর্ণ কালো রঙের। পায়ের আঙ্গুলের দাগগুলিতে উজ্জ্বল কমলা রঙের আভা রয়েছে।   কুমিরের নিচের অংশে একটি গাঢ় ধূসর পেট আছে এবং লেজের কেন্দ্রে একটি কমলা ডোরাকাটা।

#বসবাস

কাও ব্যাং কুমির নিউটস ৩৩০০ ফুট বা তার বেশি উচ্চতায় পাহাড়ের বনে বাস করে।  যেখানে আবহাওয়া ঠান্ডা শুষ্ক মৌসুম থেকে ওঠানামা করে একটি উষ্ণ বর্ষা মৌসুমে।  গবেষকরা গবেষণায় উল্লেখ করেছেন যে, বর্ষাকালে নিউটস বংশবৃদ্ধি করে ধীরগতিতে প্রবাহিত স্রোতে বা অস্থায়ী পুলগুলিতে এবং তারা শীতকালে পাথর এবং গহ্বরের নীচে লুকিয়ে থাকে।


#নতুন প্রজাতির বিলুপ্তি

গবেষকরা মনে করেন যে, এই নতুন প্রজাতিটি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে মানুষের কার্যকলাপের কারণে এবং গবেষণা বলেছে যে, ভিয়েতনামী আইনের অধীনে তাদের সুরক্ষিত করা হবে।।

 গবেষকদের ব্যাখ্যামতে কুমির নিউটের নাম রাখা হয়েছে কোয়েনেসিস। কোলা খামারে তাদের পাওয়া যায়।  এবং তাদের সাধারণ নাম কাও ব্যাং। 


 

×