.
লেবাননে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থল হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইল। ওই হামলা শুরুর পর গত শনিবার লেবাননের সবচেয়ে গভীরে প্রবেশ করেছিল ইসরাইলি সেনারা। তবে রবিবার সকালে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ইসরাইলি সেনারা চলে যেতে বাধ্য হয়। এদিকে ইসরাইলের অধিকৃত ভূখ-ের বিভিন্ন স্থানে ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এছাড়া ইসরাইলের ৫টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের হাইফা শহরের মধ্যে এবং ওই শহরের কাছাকাছি অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। খবর আলজাজিরার।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উত্তরাঞ্চলীয় সিজারিয়া এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তিগত বাসভবনে দুটি ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নেতানিয়াহুর বাড়ির বাগানে পড়ে দুটি ফ্ল্যাশ বোমা। হামলার পর ওই বাসভবনে আগুন ধরে যায়, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হামলার সময় নেতানিয়াহু ও তার পরিবার বাসভবনে ছিলেন না। লেবানের রাষ্ট্রয়াত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের চামা গ্রামের একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় অল্প সময়ের জন্য দখল করেছিল ইসরাইলি বাহিনী। কিন্তু হিজবুল্লাহর আক্রমণের পর সেখান থেকেও তারা সরে যতে বাধ্য হয়। চামাতে অবস্থিত শিমনের মাজারে বোমা হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। যদিও এটির সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি ইসলাম ধর্মের নবী হযরত ঈসা (আঃ) এর অন্যতম সহযোগী ছিলেন বলে বলা হয়। এছাড়া তিনি ঈসা (আঃ) এর মা মরিয়মের আত্মীয় ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে তার মাজারটি ধ্বংস আসলে করা হয়েছে কিনা সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। এদিকে স্থল হামলার পাশাপাশি লেবানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইল। তাদের হামলায় নতুন করে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, লেবানন থেকে দখলকৃত ইসরাইলি ভূখ-ে রকেট হামলার পর হাইফা এবং আক্রা শহরে জোরালো বিস্ফোরণ শোনা গেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। এদিকে হাইফার বিস্ফোরণটি বিদ্যুৎবিভ্রাট সৃষ্টি করেছে। ফলে শহরের কিছু অংশ অন্ধকারে ডুবে যায়। ইসরাইলি চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, এই আক্রমণে হাইফা অঞ্চলের বেশ কিছু ভবন ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।