ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইউরেনাসের চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ইউরেনাসের চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা

ইউরেনাস ও এর সবচেয়ে বড় পাঁচটি চাঁদ হয়তো প্রাণহীন কোনো জগৎ নয়, যদিও দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ভিন্ন। বরং এইসব চাঁদে সমুদ্র এমনকি জীবন ধারণ করার মতো সম্ভাবনাও আছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। আমরা এ গ্রহ নিয়ে যা যা তথ্য জানি, তার বেশিরভাগই সংগ্রহ করেছে নাসার ভয়েজার-২ মহাকাশযান যা গ্রহটির পাশ দিয়ে গিয়েছে প্রায় ৪০ বছর আগে। খবর ইয়াহু নিউজের।
কিন্তু নতুন এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভয়েজারের ভ্রমণের সময় মহাকাশযানটি শক্তিশালী এক সৌর ঝড়ের মুখে পড়েছিল। ফলে ইউরেনাস গ্রহটির অবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তিকর ধারণা মিলেছে। আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রান্তে অবস্থিত এক অপরূপ, বরফে আবৃত জগৎ ইউরেনাস, যা সৌরজগতের সবচেয়ে ঠাণ্ডা হিসেবেও বিবেচিত। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রহের তুলনায় এটি একটু বেশিই একদিকে কাত হয়ে আছে। গ্রহটি দেখলে মনে হয়, এটি যেকোনো মুহুর্তে ছিটকে যেতে পারে, যার কারণে এটি দেখতে আরও অদ্ভুত লাগে। গ্রহটির প্রথম ঝলক মিলেছিল ১৯৮৬ সালে, যখন ভয়েজার-২ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদের বেশ কিছু রোমাঞ্চকর ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীদেরকে এর চেয়েও বেশি বিমোহিত করেছে সে সময় ভয়েজার-২ এর পাঠানো ডেটা। এর থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল, ইউরেনিয়ান সিস্টেম তাদের ধারণার চেয়েও অদ্ভুত। সে সময় মহাকাশযানটির বিভিন্ন যন্ত্রে নেওয়া পরিমাপ থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল, ওই গ্রহ ও এর বিভিন্ন চাঁদ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল, যা সৌরজগতের বাইরে অংশে থাকা অন্যান্য চাঁদে দেখা যায়নি। এতে আরও দেখা গেছে, ইউরেনাসের চৌম্বক ক্ষেত্র আসলে বিকৃত অবস্থায় ছিল। গ্রহটির চৌম্বক ক্ষেত্র বিভিন্ন গ্যাস এবং ইউরেনাস ও এর চাঁদগুলো থেকে নির্গত উপাদানগুলোকে নিজের জালে আটকে ফেলে। এটা সম্ভবত সমুদ্র বা গ্রহের ভূতাত্ত্বিক গতিবিধির কারণে ঘটে থাকে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

×