গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকেই। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা ও আনাদুল এজেন্সির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূন্ড ও লেবাননজুড়ে ইসরাইলি হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১১২ জন। এর মধ্যে গাজায় ২৪ ফিলিস্তিনি ও লেবাননে ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা হয়েছে উত্তর গাজায়। বাদ যায়নি দক্ষিণ ও মধ্য গাজাও। লেবাননেও চলছে নেতানিয়াহু প্রশাসনের বর্বরতা। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত রাজধানী বৈরুতসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিহত ১৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়াও তালিকায় ৫ জন নারীও রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৭৩৬ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়াও এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৩৭০। অন্যদিকে লেবাননের কমপক্ষে ৩৩৮৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১৪৪১৭ জন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত চলছে ইসরাইলের। তবে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং আহত কমপক্ষে ১৬ জন। বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার একাধিক গণমাধ্যম। রাজধানীর মাজেহ ও কুদসায়া অঞ্চলে দুটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। তবে ইসরাইলের সাফাই বেসামরিকরা নয়, আইডিএফের টার্গেট ছিল ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। নেতানিয়াহু প্রশাসনের অভিযোগ, হিজবুল্লাহ যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে তার বেশিরভাগই আসে সিরিয়া থেকে। অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে দুবার ভাববে না বলে হুঁশিয়ারিও করেন।