.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সীমান্ত বন্ধ ও গণহারে অভিবাসীদের নির্বাসনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এদিকে ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাসের বেশি সময় বাকি থাকতেই সরকার গঠনে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প। খবর সিএনএনের।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর লাখ লাখ অভিবাসীদের মাঝে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেননা, কাগজপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এ কারণে অভিবাসীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে শুরুতেই অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার কাজ শুরু করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটিরও বেশি কাগজপত্রহীন অভিবাসী রয়েছেন। যারা অবৈধ হিসেবেই পরিচিত। জো বাইডেনের বিগত চার বছরে আরও কয়েক লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তারাও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে দিন পার করছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে তাই এসব অভিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েই প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধের উদ্যোগ নেবেন। সেই সঙ্গে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিতেও তিনি বিশেষ নজর দেবেন। তাই ট্রাম্পের মিত্ররা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার কিংবা নির্বাসনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছেন। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার আগেই সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিউইয়র্কের কংগ্রেসওমেন এলিস স্টিফানিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, স্টিফানিককে রাষ্ট্রদূত মনোনীত করতে পেরে তিনি আনন্দিত। স্টিফানিককে একজন শক্তিশালী, ইস্পাত কঠিন দৃঢ়চেতা সম্পন্ন সুযোগ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একজন সত্যিকারের যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।