যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক জয়ের পরে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্রে চীন একটি অর্থনৈতিক অস্থির ও অনিশ্চিত পথের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন চীনা পণ্যের উপর ৬০% পর্যন্ত শুল্ক আনতে পারে - যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধ্বংস করে বৈশ্বিক সরবরাহ বিপর্যস্ত করতে পারে।
সাংহাইয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক শেন ডিংলি বলেন, 'ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা চীনের জন্য একই সাথে বড় সুযোগ ও বৃহত্তর ঝুঁকি বয়ে আনবে।"
তবে এর শেষ বড় ঝুঁকি নাকি বৃহৎ সুযোগ তা নির্ভর করে উভয় পক্ষ একে অপরের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করে তার উপর।
গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের জয়ের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের নেতা শি জিনপিং।
তবে কূটনীতিবিদদের মতে, বেইজিং সম্ভবত ট্রাম্পের জয়ের প্রভাব এবং অনিশ্চয়তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রচারাভিযানের পথে চীনে তৈরি সমস্ত পণ্যের উপর 60% শুল্ক আরোপ এবং তার "স্থায়ী স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক" মর্যাদা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন, যা চীনকে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সবচেয়ে অনুকূল বাণিজ্য শর্ত দিয়েছে।
এই পদক্ষেপটি কার্যকর হলে এটি সম্পত্তি সংকটে জর্জরিত অর্থনীতিতে আঘাত হানবে। ভোক্তাদের চাহিদা হ্রাস, দাম হ্রাস হয়ে স্থানীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধি হবে।
বিনিয়োগ ব্যাংক ম্যাকুয়ারির প্রধান চীন অর্থনীতিবিদ ল্যারি হু গত বুধবার একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেন, "এই দ্বিতীয় বাণিজ্য চীনের চলমান প্রবৃদ্ধি মডেলকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যে প্রবৃদ্ধির প্রধানই ছিলো রপ্তানি ও উতপাদন যেখানে রফতানি ও উত্পাদন প্রধান প্রবৃদ্ধির চালক ছিল।
গত বুধবার ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ার সাথে সাথে বিনিয়োগকারীরা চীনা স্টক এবং মুদ্রার মানের তীব্র পতন ঘটেছিল।
রিপাবলিকিয়ান ধারা থেকে বেরিয়ে ট্রাম্প নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি অনিয়মিত এবং অপ্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা বেইজিংয়ের জন্য অনিশ্চয়তার মূল কারণ।
তবে ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' এজেন্ডা এবং লেনদেনের নিয়ম বেইজিংয়ের পক্ষে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তানজিলা