আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মামলার আসামি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর ভবিষৎ কী হবে সেটি নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তার মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। আগামী ২৬ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে জিতে যাওয়ায় এই মামলা থেকে হয়তো অব্যাহতিও পেতে পারেন ট্রাম্প।
এর বাইরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়। তবে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলে এই মামলার প্রধান কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে এই মামলার ভবিষ্যৎও এখন প্রশ্নের মুখে।
২০২০ সালের নির্বাচনে টান টান লড়াইয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের জর্জিয়া অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল। তবে সেখানকার নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও সেখানকার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সেই মামলা আপাতত স্থগিত।
ফৌজদারি মামলা ছাড়াও একাধিক দেওয়ানি মামলাতেও নাম জড়িয়েছে ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্কের আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অধিকৃত সম্পত্তির মামলা চলছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বেআইনিভাবে ৩০ কোটি ডলারের সম্পত্তি করেছিলেন ট্রাম্প এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও জেলে যেতে হবে না ট্রাম্পকে। আর্থিক জরিমানা দিয়েই এই মামলা থেকে পার পেয়ে যাবেন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এই রিপাবলিকান নেতা।
সিএনএন জানিয়েছে, এসব মামলা এখন হয়তো নথিতেই আটকে থাকতে পারে। এর আগে আমেরিকার ইতিহাসে কোনো অপরাধে দৌষী সাব্যস্ত কেউ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে যেতে পারেনি। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে লোয়োলা আইন স্কুলের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক জেসিকা লেভিনসন বলছেন, এসব মামলা এখন শিগগির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
তাসমিম