ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ট্রাইজংশন এলাকায় খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৬ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২৩:৩৭, ৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ট্রাইজংশন এলাকায় খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল দুহোমা

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লাল দুহোমা তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ট্রাইজংশন এলাকায় একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।  

গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যণ্ডে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়াও এর দুদিন পর ৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপোলিসে দেয়া আরেক ভাষণে তিনি একই কথার পুণরাবৃত্তি করেন। তার এই ভাষণের ভিডিও ও মেইন স্ক্রিপ্ট পার্বত্যনিউজের হাতে রয়েছে।

লাল দুহোমা এ ভাষণ একমাস পূর্বে দিলেও সম্প্রতি ভারতের কিছু স্বল্প প্রচারিত গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ভারতীয় সংবিধানের রক্ষায় শপথ গ্রহণকারী একজন মুখ্যমন্ত্রী কী করে এ ধরণের বক্তব্য দিতে পারেন তা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ভারতীয় এক্স ব্যবহারকারী নেটিজেনরা।

লাল দুহোমার এ ভাষণে দেখা যায় গত ২ সেপ্টেম্বর ম্যারিল্যাণ্ডে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, The main objective of ZORO Movement in 1988 was Zo-Reunification within India. Can the ‘Zo’ people in India, Burma and Bangladesh today, aspire to be re-united under India? Looking at the geo-political realities of our time, it may not be so farfetched to think this could be a possibility one day. Perhaps fate has this reunification in store for us in the future. Also, I am not oblivious to the huge responsibility I bear in this regard, towards contributing to making this dream a reality. For now, I can only say that I eagerly await the day and time when the question I have posed above is answered. ..As you are all aware, our brothers and sisters from Burma, Bangladesh and Manipur have come to us in Mizoram for their safety. We currently have over 40,000 displaced people under our care.

অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে জোরো আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের মধ্যে জো-পুনর্মিলন। আজ ভারত, বার্মা এবং বাংলাদেশের ‘জো’ জনগণ কি ভারতের অধীনে পুনরায় একত্রিত হতে পারে? আমাদের সময়ের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে তাকালে এটা ভাবাটা এতটা কঠিন নয় যে, একদিন এটা একটা সম্ভাবনা হতে পারে।

সম্ভবত ভাগ্য ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এই পুনর্মিলন লিখে রেখেছে। এছাড়াও, এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য অবদান রাখার জন্য এই বিষয়ে আমি যে বিশাল দায়িত্ব বহন করছি তার প্রতি আমি বেখেয়াল নই। আপাতত, আমি শুধু বলতে পারি যে, আমি অধীর আগ্রহে সেই দিন এবং সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি যখন আমি উপরে উত্থাপিত প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারবো। ..যেমন আপনারা সবাই অবগত আছেন, বার্মা, বাংলাদেশ এবং মণিপুর থেকে আমাদের ভাই-বোনেরা তাদের নিরাপত্তার জন্য মিজোরামে আমাদের কাছে এসেছেন। বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে ৪০০০০ এর বেশি বাস্তুচ্যুত লোক রয়েছে।

এ ছাড়াও ৪ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানা পোলিসে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, We are one people—brothers and sisters—and we cannot afford to be divided or apart from one another. I want us to have the conviction and confidence that one day, through the strength of God, who made us a nation, we will rise together under one leadership to achieve our destiny of nationhood. While a country may have borders, a true nation transcends such limitations. We have been unjustly divided, forced to exist under three different governments in three different countries, and this is something we can never accept.

অর্থাৎ আমরা একই জাতি। ভাই ও বোনেরা, আমরা একে অপরের থেকে বিভক্ত বা আলাদা হতে পারি না। আমি চাই আমাদের এই দৃঢ় প্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাস হোক যে, ঈশ্বরের শক্তির মাধ্যমে, যিনি আমাদের একটি জাতি বানিয়েছেন, আমরা আমাদের জাতিসত্তার ভাগ্য অর্জনের জন্য এক নেতৃত্বে একত্রিত হব।

যদি কোনো দেশের সীমানাও থাকে, একটি সত্যিকারের জাতি এই ধরনের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে। আমরা অন্যায়ভাবে বিভক্ত হয়েছি, তিনটি ভিন্ন দেশে তিনটি ভিন্ন সরকারের অধীনে থাকতে বাধ্য হয়েছি, এবং এটি এমন কিছু যা আমরা কখনই মেনে নিতে পারি না।

তার এই বক্তব্যের পর ভারতীয় স্যোশাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর প্রবল সমালোচনায় ফেটে পড়েন। অভিজিৎ চাভদা নামে একজন লেখেন, “Kukiland for Christ, from US soil! Speeches given in September 2024 by the current CM of Mizoram in the US – refuses to accept territorial integrity & sovereignty of India. The Indian government’s inaction will cost us dearly.”

অঙ্কিত কুমার লেখেন, “On Sept 4 2024 Mizoram CM Lalduhoma allegedly proposed forming a Christian nation, including parts of India, Bangladesh, and Myanmar, during a US event. Yet India’s media and government have remained silent on this sensitive issue. Separatist agenda or a call for religious unity?”

Abiema Lisham তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “To those who cannot see the Manipur conflict in larger picture, this is CM of Mizoram calling for the creation of a Christian nation including parts of India, Bangladesh & Myanmar in US. It’s in their official statement. A Separatist Agenda to divide North-East India”.

বলবীর পুঞ্জ নামে এক নেটাগরিক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে লেখেন, “The following speech of Chief Minister of Mizoram PU Lalduhoma is self-explanatory. In his speech, he shares his vision of an independent ‘Christian state’ encompassing Christian-majority areas in three different countries. It is easy to deduce that these countries are India, Bangladesh, and Myanmar.

Lalduhoma, a former IPS, was once part of Indira Gandhi’s security detail. He resigned from the IPS in 1984 to join the INCIndia and was subsequently elected as President of the INCMizoram. In Dec 2023, his party ‘Zoram People’s Movement’ formed the government.

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের উপর তিনি কিছু প্রশ্ন তুলে আরো লেখেন, “1. Can someone who has taken an oath of allegiance to the Indian Constitution speak in a way that suggests breaking India apart?

Do the Mizoram Council of Churches and other Church bodies across India support Lalduhoma’s communal, divisive, and anti-national stance?
Is Lal Duhoma speaking for himself? Or for the external powers who wants to reshapes South Asia’s geopolitical scene?
বাংলাদেশের পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, “The former Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina had warned of foreign interference aimed at reconfiguring this part of the world. According to Hasina, a Western official had explicitly outlined plans to create an independent Christian nation from parts of Bangladesh, Myanmar, and India—a proposal Hasina likened to the East Timor model. She emphasised that the “offer came from a White man.” In light of Lalduhoma’s speech in Indianapolis, Hasina’s statements have gained new relevance”.

এদিকে গত ৫ নভেম্বর ভারতের বিজনেস টুডে নামের একটি নিউজ পোর্টালের অনলাইন ভার্সনে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়, ‘What Hasina said was true’: Netizens blast Mizoram CM’s call for Christian nation in explosive US speech.

Mizoram CM Lalduhoma’s speech on American soil has fuelled a debate on whether a foreign country was, indeed, plotting to carve out a separate Christian nation in India’s North East.

অন্যদিকে গোয়া ক্রনিকল নামের আরেকটি নিউজ পোর্টালের প্রধান সম্পাদক স্যাভিও রড্রিগেজ এ বিষয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একটি প্রবন্ধ লেখেন। উক্ত প্রবন্ধে তিনি মূখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।

*. Mizoram is a part of India. What do you mean by “rise together under one leadership to achieve our destiny of nationhood”? Do you consider India as the nation, or are you envisioning a separate nation for the Chin-Kuki-Zo people?

*. You speak about being “forced to exist under three governments in three different countries,” and that “this is something we can never accept.” You are the Chief Minister of an Indian state. Do you not accept Mizoram’s place as part of India? Which part of this reality is “forced”?

*. How do you envision the U.S. assisting in this idea of nationhood that you mentioned? Why would you, as the Chief Minister of an Indian state, seek to promote a separatist and divisive agenda?

তবে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী তার এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি বলে তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন।

শহিদ

×