তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এবার মহাকাশ থেকেও ভোট দিয়েছেন ৪ মার্কিন নভোচারী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুধু যে পৃথিবীতে অবস্থান করেই ভোট দেওয়া যায়, ব্যাপারটি এখন তা নয়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এবার মহাকাশ থেকেও ভোট দিয়েছেন ৪ মার্কিন নভোচারী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আগাম ভোট দিয়েছেন এসব নভোচারী। অ্যাস্ট্রোনাটদের মধ্যে রয়েছেন নভোচারী বুচ উইলমোর, সানি উইলিয়ামস। টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টি ক্লার্ক অব কোর্টের অফিস।
নাসার নভোচারীরা মার্কিন পতাকার রঙের মোজা পরে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দুই নভোচারীর মোজায় লেখা ছিল, ‘আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।’ টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে আগাম ভোট দেওয়া ১২ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে তারাও রয়েছেন। মহাকাশে ডেটা পাঠানোর মতোই মিশন কন্ট্রোল থেকে স্পেস স্টেশনে ব্যালট পাঠানো হয়। পরে আবার তা ফেরত আসে।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্পেস স্টেশন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে নভোচারী সানি উইলিয়ামস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা নাগরিক হিসেবে আমাদের রয়েছে এবং আমি মহাকাশ থেকে ভোট দিতে সক্ষম হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি, যা বেশ দুর্দান্ত অনুভূতি।’
এদিকে নাসার প্রকাশিত এক পডকাস্টে বলা হয়েছে, মার্কিন নভোচারীদের ভোটদানের বিষয়টি দেখভাল করেন ভূপৃষ্ঠে থাকা নাসার দুই কর্মকর্তা মার্টা ডুরহ্যাম ও কারেন অ্যাডকিনস।
নাসার ভাষ্যমতে, মহাকাশে থাকা কোনো নভোচারী যদি ভোটদানের আগ্রহের কথা জানান, তাহলে প্রথমে তারা যে অঞ্চলে থাকেন, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ডুরহ্যাম ও অ্যাডকিনস। সেখান থেকে ওই নভোচারীদের জন্য ব্যালট পেপার সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেগুলোর কপি তারবার্তার মাধ্যমে মহাকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর মহাকাশে থাকা নভোচারীরা ওই ব্যালট পেপার পূরণ করেন। সেগুলোতে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেগুলো পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত পিডিএফ ফাইলের আকারে আবার তারবার্তার মাধ্যমে পৃথিবীতে নাসার কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাসার কর্মকর্তা মার্টা ডুরহ্যাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রত্যেক নভোচারীর থাকার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। সেগুলো ‘ক্রু কোয়ার্টার’ নামে পরিচিত। সেই জায়গাগুলো তারা ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন। এমনকি ক্রু কোয়ার্টারে ‘ভোটিং বুথ’ লিখেও দিয়েছেন।’- সিএনএন