কিছু দিন আগেও যে ভোটাররা বুঝতে পারছিলেন না কাকে ভোট দেবেন, দুই মাসের মাথায় প্রধান দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রথম ও একমাত্র বিতর্ক শেষ হতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তাদের অনেকে।
জাতীয় পর্যায়ের হিসাব কামালার মোটামুটি অনুকূলে এবং দুই নেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস জারি থাকলেও সুইং স্টেটস হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে জরিপের ফল ট্রাম্পের জন্য নিচ্ছে ইতিবাচক মোড়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ৫৩৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ২৭০টি প্রয়োজন। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিটির জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বরাদ্দ রয়েছে। কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা অতীতের ধারাবাহিকতায় একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন, তবে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘সুইং স্টেটের’ ভোটাররা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকেন, যা নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে
কিন্তু সারা দেশের অর্ধশত অঙ্গরাজ্যের ২৪ কোটি ভোটারের বিপরীতে মাত্র সাত অঙ্গরাজ্যের ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ? মার্কিন সংবিধান অনুসারে, সাধারণ ভোটারদের ইচ্ছে তথা পপুলার ভোট এবং কংগ্রেসের নীতিনির্ধারকদের রায়, তথা ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে সমঝোতা বা ভারসাম্য বজায় রেখে নির্বাচিত হবেন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট।
৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সাত সুইং স্টেটসসহ সারা দেশের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট গণনা হবে তারও এক মাস পর, নতুন বছরের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। এরপর ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
জাফরান