কমলা হ্যারিস
মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস দুজনই দাঁড়িয়ে আছেন ইতিহাসের সামনে। একজন মুখিয়ে আছেন ১৩২ বছরের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে; মার্কিন ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি অন্যজনের সামনে।
মূলত, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হঠাৎ করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ এসেছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার সামনে। তাই নির্বাচনী প্রচারণায় সময়ও পেয়েছেন কম। কিন্তু এ অল্প সময়েই নিজের বাকপটুতা এবং প্রশাসনে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পের বিপরীতে শক্ত অবস্থান দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা হ্যারিস তার শেষ সমাবেশ করেন পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায়। সমর্থকদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের শেষ বক্তৃতা শুরু করেন এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা কে, তা দেখানোর জন্য আমরা সবাই এতে একসঙ্গে আছি।’
হ্যারিস বলেন, ‘ভোটারদের এক দশকের রাজনীতির পাতা উল্টানোর সুযোগ আছে, যা ভয় ও বিভাজন দ্বারা চালিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তুত। আমাদের প্রচারাভিযান আমেরিকান জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবং আমরা একসঙ্গে যা করতে পারি তা নিয়ে আমরা উত্তেজিত।’
অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান ছাড়াও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কার, অভিবাসন নীতি এবং বৈশ্বিক ইস্যু বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা-লেবাননে ইসরায়েয়েলি আগ্রাসনের ব্যাপারে সরকারের ভবিষ্যৎ নীতি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে এবারের মার্কিন নির্বাচনে।
তাসমিম