.
গত সপ্তাহের বিমান হামলার জবাবে ইসরাইলে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইরান। এখন হামলার সময় ও ক্ষণ নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার এবং বর্তমানে আইনপ্রণেতা ইসমাইল কাউসারি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে তেহরান টাইমস। আইনপ্রণেতা এবং সংসদের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্য ইসমাইল কাউসারি ইরানি গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাল্টা হামলার বিশদ বিবরণ সামরিক নেতাদের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তারা এখন আক্রমণের সময় ও ক্ষণ নির্ধারণ করবেন। খবর ইরনার।
কাউসারি আরও বলেন, দেশের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রায় সব সদস্যই একমত যে ইরানের উচিত জায়নবাদী ইসরাইলি শাসকদের একটা যথার্থ জবাব দেওয়া। তিনি বলেন, ইসরাইলের সর্বশেষ নৃশংসতার জবাব দেওয়া আমাদের আইনি অধিকার। আমরা অবশ্যই এই অধিকার ব্যবহার করব। এদিকে ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি বিমান বিধবস্ত হয়ে দেশটির এলিট ফোর্স বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক জেনারেলসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইরানের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরাইলের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান।
এরইমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে গেছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবার তার সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই কথা জানা গেছে। গাজা ও লেবানন যুদ্ধের মধ্যে গত এপ্রিল মাস থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ওই হামলা চালানো হয়। এর জবাবে গত ২৬ অক্টোবর ইরানে অতর্কিত হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলায় রাজধানী তেহরানসহ দেশটির কয়েকটি প্রদেশের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই হামলায় ইসরাইলি বাহিনী শতাধিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে।