ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় কালীপূজা ঘিরে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৩ জন। এ ছাড়া শহরজুড়ে বাড়তি নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিষিদ্ধ বাজি ফুটানো এবং অসভ্য আচরণের অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। এর মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে বাজি ফুটানো এবং বাকি ২৬ জনের বিরুদ্ধে অসভ্য আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ।
পুলিশের বরাতে বলা হয়, শহরজুড়ে বাড়তি নজরদারি আরোপ করেছে তারা। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছে পুলিশ। বিশেষ করে নিষিদ্ধ বাজির কারণে হাসপাতালে রোগীদের যাতে সমস্যা না হয়, তা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, কালীপূজা ও দীপাবলিতে নিষিদ্ধ বাজির ‘তাণ্ডব’ বন্ধ করতে পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে। শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবনের দিকেও নজর রেখেছে পুলিশ। কেউ বিধি ভাঙলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নিষিদ্ধ বাজি ফুটানো রুখতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। বাজি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। বহুতল ভবনগুলোতে শব্দবাজি ফুটানো রুখতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ অক্টোবর থেকেই অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সেদিন থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতা পুলিশ নিষিদ্ধ বাজিসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩ হাজার ৯৩৪ কেজি নিষিদ্ধ বাজি।
প্রসঙ্গত, কালীপূজা নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এর মধ্যে শব্দবাজি নিষিদ্ধ ছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে মাইক বা সাউন্ড বক্স ব্যবহারে বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা শিল্পাঞ্চলে শব্দের মাত্রা ৭৫ ডেসিবেল যেন না ছাড়ায়। বাজার এলাকায় সর্বোচ্চ ৬৫ ডেসিবেল। বসত এলাকায় ৫৫ ডেসিবেল। শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বরাবরই ‘সায়লেন্স জ়োন’। সেখানে শব্দের মাত্রা যেন ৫০ ডেসিবেল না ছাড়ায়। রাতেও শব্দের মাত্রা বেঁধে দিয়েছে পুলিশ। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল এবং বসত এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা যথাক্রমে ৭০ এবং ৪৫ ডেসিবেল হতে পারে। রাতে বাজার এলাকায় শব্দের মাত্রা যাতে ৫৫ ডেসিবেল না ছা়ড়ায়। সায়লেন্স জ়োনেও শব্দের মাত্রা রাখতে হবে ৪০ ডেসিবেলের মধ্যে।
শিহাব উদ্দিন