ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

হঠাৎ ভারত সীমান্তে দুই বাহিনীর মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

হঠাৎ ভারত সীমান্তে দুই বাহিনীর মিষ্টি বিতরণ

দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে ভারত ও চীনের সেনারা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) পাঁচটি জায়গায় এই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে দুটি জায়গা লাদাখের।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এখন ঠিক করা হবে ওই এলাকায় চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের বাহিনী কবে থেকে টহল দেওয়া শুরু করবে।

 

স্যাটেলাইটের ছবিতেও সেনা সদস্য সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনডিটিভি আজ সেই ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ডেপস্যাংয়ের এক স্থানে ১১ অক্টোবর চীনা বাহিনীর যে অবস্থান ছিল, ২৫ অক্টোবর তা নেই। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী চীনা বাহিনী তা সরিয়ে নিয়েছে।

 

 

 

 

পূর্ব লাদাখের ডেপস্যাং ও ডেমচকে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসার একদিন পর এই মিষ্টি বিতরণ করা হলো। 

সূত্র অনুযায়ী, এটা হলো দুই দেশের বাহিনীর ২০২০ সালের পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া। চার বছর ধরে ভারত এই কথাই বারবার বলে এসেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চার বছর আগের স্থিতাবস্থায় না যেতে পারলে দুই দেশের সম্পর্ক আগের মতো স্বাভাবিক হবে না। 

 

ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, সেনা সদস্যদের সরানো হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের কাজ দুই পক্ষই চালিয়ে যাচ্ছে। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হলেই দুই বাহিনী টহল দেওয়া শুরু করবে। দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা টহলদারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। 

২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।  এরপর দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক তৎপরতাও বাড়িয়ে গেছে। দুই দেশের সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক স্তরে বারবার বৈঠকের ফলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি এড়ানো গেলেও মুখোমুখি অবস্থান থেকে কোনো দেশই পিছিয়ে আসেনি।

দুই দেশের চুক্তির পর গত সপ্তাহে রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনের অবসরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।  

 

ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছেছে।

ফুয়াদ

×