ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন বাবা ভাঙ্গা
আর মাত্র ২০ বছর পরই ইউরোপ মুসলিম শাসনের অধীনে চলে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন বাবা ভাঙ্গা। এ ছাড়া ২০৭৬ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করে গেছেন তিনি। এর আগেও বুলগেরিয়ার এই আধ্যাত্মিক নারীর একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল। ভাঞ্জেলিয়া পন্দেভা গুশতেরোভা বাবা ভাঙ্গা নামে পরিচিত। বুলগেরিয়ার রহস্যময় দৃষ্টিহীন নারী বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। ১২ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার পরই ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা পান বলে দাবি ছিল বাবা ভাঙ্গার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, কমিউনিস্ট শাসনের অবসান, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে পারমাণবিক বিপর্যয়, সোভিয়েত প্রধান জোসেফ স্ট্যালিনের মৃত্যু থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলা, ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামি নিজের জীবদ্দশায় এই সবকিছুই বলে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
এমনকি নিজের মৃত্যুর দিনও আগে থেকে জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ঠিক সেই দিনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে বাবা ভাঙ্গার একগুচ্ছ ভবিষ্যদ্বাণী। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সাল থেকেই পৃথিবীর ধ্বংস শুরু হবে। তার ১৮ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৪৩ সালে গোটা ইউরোপ জয় করবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। শুধু তাই নয়, আগামী বছর থেকে পৃথিবীতে শুরু হবে এলিয়েনদের আনাগোনা।
মানবসমাজের কাছেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দেবে তারা। তার পরে ২০৭৬ সালে গোটা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে কমিউনিস্ট শাসন। এদিকে ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসও একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তার মতে, ২০২৫ সালে ইউরোপজুড়ে বিরাট যুদ্ধ এবং সংঘাত সৃষ্টি হবে।
বাবা ভাঙ্গা বা নস্ত্রাদামুস-দুইজনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। আদৌ তাদের কথায় বিশ্বাস করা যায় কি না সেই নিয়ে চর্চাও রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এটুকু বলা যায়, ২০২৫ সালেও চলবে রাশিয়া-ইউক্রেন বা ইসরাইল-হামাসের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তবে সেই যুদ্ধ শেষে কী পরিণতি হবে গোটা বিশ্বের, উত্তর রয়েছে সময়ের গর্ভেই।