ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

সেনাদের মরদেহ আনা নেওয়া করতেই ব্যস্ত আইডিএফ

ইসরাইলি সেনারা পালাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ইসরাইলি সেনারা পালাচ্ছে

ইসরাইলি সেনারা পালাচ্ছে

যুদ্ধের ময়দানে ইসরাইলকে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। লেবাননে স্থলযুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়ে এখনো সীমান্তই পার হতে পারছে না ইসরাইলি সেনারা। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে ঢুকে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে আবার ফিরেও আসছে। তছনছ করে দিচ্ছে ইহুদিদের সেনা ঘাঁটি। সেনাদের মরদেহ আনা নেওয়া করতেই ব্যস্ত থাকছে আইডিএফ।

হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা যখন স্থলযুদ্ধে ইসরাইলকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে, তখন অন্যদিক ইয়েমেন থেকে হুতি আর ইরাত-সিরিয়া থেকে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যুগপৎ আক্রমণের মুখে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে ইসরাইলের অভিজাত কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা। খবর ইরনার।
ইসরাইলজুড়ে বন্ধই হচ্ছে না ড্রোন ও মিসাইল হামলার সাইরেনের শব্দ। গেল চারদিনেই ইসরাইলের অভ্যন্তরে দেড় শতাধিক ড্রোনের হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের ভেতরে পাঁচটি  সারফেস টু এয়ার মিসাইল ছুঁড়েছে গোষ্ঠিটি। মঙ্গলবারও হিজবুল্লাহর বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোনের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে নাহরিয়া, আশকেলনের মতো শহরগুলো। একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনীর গর্বের প্রতীক মারকাভা ট্যাঙ্কসহ অত্যাধুনিক সব যুদ্ধযান।

ইসরাইলসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো গুজব ছড়াচ্ছে, ইসরাইলি হামলায় দুর্বল হয়ে গেছে ইরানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হামাস, হুতি, হিজবুল্লাহর মতো দলগুলো। এসব কারণে তেহরান ত্যাগ করছে ইসলামি প্রতিরোধ দলগুলোকে। নেতানিয়াহু প্রশাসন দাবি করেছে- হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবাননেই নাকি সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানাচ্ছেন। আর নেতৃত্ব শূন্যতায় যুদ্ধের খেই হারিয়ে ফেলেছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তবে পশ্চিমাদের এমন মিথ্যাচারের জবাব যুদ্ধক্ষেত্রে দিচ্ছে প্রতিরোধের অক্ষ।

ইরানে ইসরাইলের হামলার পর একের পর এক আক্রমণে দখলদার দেশটির ঘুম হারাম করে দিয়েছে ইসলামি যোদ্ধারা। স্থলযুদ্ধে মাত্র এক মাসেই হিজবুল্লাহর হাতে নিহত হয়েছে ৯০ জনের বেশি ইসরাইলি সেনা। আহত সাড়ে সাতশোর বেশি। যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলের অত্যাধুনিক চারটি হারমেস ড্রোন ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহ। লেবানন সীমান্তে স্থল অভিযানের জন্য ট্যাঙ্কের বহর জড়ো করলেও মাত্র এক মাসের যুদ্ধেই ইসলামিক প্রতিরোধ দলটির আক্রমণে ৩৮টি মারকাভা ট্যাঙ্ক হারিয়েছে দখলদার দেশটি। 
ইসরাইলি সেনারা সীমান্ত পাড়ি দিতে আনা চার মিলিটারি বুলডোজার হারিয়েছে হিজবুল্লাহর হামলায়। ধ্বংস হয়েছে হামভিসহ ইসরাইলের বহু সশস্ত্র যান। ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের বেশ কিছু গ্রাম দখল করে নিজেদের পতাকা উড়ানোর খবর প্রকাশ করলেও, বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। ইসরাইলের ভেতরেই ২৫টি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে হিজবুল্লাহ। পশ্চিমাদের মিথ্যাচারের জবাবে ইসরাইলজুড়ে হামলা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।

জানিয়েছে-চলমান যুদ্ধে শক্তি হারানো তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত মূল অস্ত্র ভান্ডারে হাতই দিতে হয়নি তাদের। ইসরাইলজুড়ে হামলা বাড়িয়েছে হুতিও। দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলের আঘাতে হাইফাসহ ইসরাইলে ক্রমাগত হামলা অব্যাহত রেখেছে ইয়েমেনি গোষ্ঠীটি। এছাড়াও লোহিত সাগরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরালো করেছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠিটি। 
মঙ্গলবার লোহিত সাগর, বাব এল মানদেব প্রণালি ও আরব সাগরে ড্রোন, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইলের হামলায় তিনটি পশ্চিমা জাহাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে হুতি। নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলার জবাবে ইসরাইলের উপর আরও চড়াও হয়েছে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারাও। 

×