ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল

জাপানে নতুন সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: ০০:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

জাপানে নতুন সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা

.

জাপানের পরবর্তী সরকার গঠনে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সমালোচিত জোট সরকারের বিরুদ্ধে জনমত বৃদ্ধির প্রতিফলন দেখা গেছে। ফলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশকে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। খবর রয়টার্সের।
সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে অন্তত ২৩৩টি আসন প্রয়োজন। কোনো দলই তা অর্জনে সমর্থ হয়নি। জাপানে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও মূল্যস্ফীতির কারণে এলডিপি জোট সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে। তার প্রভাবই দেখা যাচ্ছে জনগণের ভোটে। সংবিধান অনুসারে, সরকার গঠনের জন্য সমঝোতায় আসতে দলগুলোর হাতে সময় আছে ৩০ দিন। ছোট দলগুলোও এবার যথেষ্ট আসন লাভ করেছে। ফলে আলোচনায় তারাও প্রভাব বিস্তার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনকে কেন্দ্র করে এই অনিশ্চয়তা কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য ধরে রাখতে সরকার গঠন ও সম্ভাব্য নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্ষণ গুনছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু বর্তমান অনিশ্চয়তায় ইয়েন মুদ্রার মান তিনমাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যেই একাধিক মাথাব্যথার কারণ রয়েছে জাপানের। একদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে পিছিয়ে আছে। অন্যদিকে রয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার  সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। আবার মাত্র এক সপ্তাহ পরেই জাপানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবমিলিয়ে একরকম অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশটির সামনে। পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে আসন হারিয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও তার জোটসঙ্গী কোমেইতো। ২৭৯ আসন দখলে থাকা জোট রবিবার জিতেছে মাত্র ২১৯টি। কোমেইতোর প্রধান কেইচি ইশি ও মন্ত্রিপরিষদের দুই সদস্য তাদের আসন হারিয়েছেন। এদিকে ভোটে চমক দেখিয়েছে প্রধান বিরোধী পক্ষ কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (সিডিপিজে)। আগের নির্বাচনে ৯৮ আসন পাওয়া দল এবার পেয়েছে ১৪৮টি।

স্থানীয় সময় ২৭ অক্টোবর সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ২ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় ভোট গণনা। একে একে প্রকাশ হতে থাকে ফল। জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, দেশটির পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে মোট আসন ৪৬৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৩৩ আসন। গতবার এলডিপি একাই পেয়েছিল ২৪৭ আসন। তবে এবার জোট হয়েও নির্দিষ্ট আসন পাচ্ছে না এলডিপি ও কোমেই। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসনসংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে প্রধান বিরোধী দল সিপিডি। গত মাসে ক্ষমতাসীন এলডিপির প্রধান নির্বাচিত হন ইশিবা শিগেরু। 

×