ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২১ অক্টোবর ২০২৪

গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় উপত্যকার জাবালিয়াতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানে তারা স্থানীয়দের বাড়িঘর উড়িয়ে দিয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র ঘেরাও করেছে এমনটাই জানিয়েছে বাসিন্দারা এবং চিকিৎসকরা। (খবর: রয়টার্স) 

সোমবার (২১ অক্টোবার), ইসরাইলি বাহিনী পুরুষদেরকে ঘিরে ধরে এবং নারীদের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় বলে তারা জানান।

ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের চিকিৎসকরা রয়টার্সকে বলেছেন যে,  ইসরায়েলি সেনারা একটি স্কুলে হামলা চালায় এবং স্থাপনাটিতে আগুন দেওয়ার আগে লোকদের আটক করে। আগুন হাসপাতালের জেনারেটরে পৌঁছে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি করে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন যে, হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের ছেড়ে চলে যেতে ও তিনটি হাসপাতাল খালি করতে বললেও তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সেই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন।  

চিকিৎসকরা আরও বলেন, সৈন্যরা হাসপাতালের বাইরে থেকে গেলেও ভেতরে প্রবেশ করেননি।  কামাল আদওয়ান নামের দ্বিতীয় হাসপাতালের কাছে ভয়াবহ আগুনের খবর পান তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, "সেনাবাহিনী হাসপাতালের পাশের স্কুলগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং কেউ হাসপাতালে ঢুকতে বা বের হতে পারছে না।"

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় জাবালিয়ায় ১৮ জন এবং গাজার অন্যত্র ৮ জন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতে জানিয়েছে, “গাজা উপত্যকা জুড়ে সেনারা স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যরা জাবালিয়া এলাকায় জঙ্গি অবকাঠামো এবং টানেল শ্যাফ্ট ভেঙে দিয়েছে এবং যোদ্ধাদের হত্যা করেছে।” তবে হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে অভিযানের বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করেনি।

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য যুদ্ধবিরতি আলোচনার সূচনার আশা জাগানোর পর ইসরাইল গাজা ও লেবানন উভয় ক্ষেত্রেই তাদের অভিযান জোরদার করেছে।

ইসরায়েল আগে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেক ভূখণ্ড নষ্ট করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। মানবিক সংকটের মধ্যে ১.৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

তাওফিক

×