ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ-সামরিক ঘাঁটি ইরানের নাগালে

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ-সামরিক ঘাঁটি ইরানের নাগালে

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ-সামরিক ঘাঁটি ইরানের নাগালে

ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের প্রধান কমান্ডারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইলের যে কোনো ধরনের হামলার জবাব দেওয়া হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভিকে জাব্বারী বলেন, আমেরিকানদের জানা উচিত যে তারা যদি একদিন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তবে তাদের ঘাঁটি, স্বার্থ ও জাহাজ আমাদের অস্ত্রের নাগালের মধ্যে থাকবে। খবর আলজাজিরার।
তিনি বলেন- প্রতিরোধ বাহিনী, মুসলিম বিশ্ব ও আমাদের মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্র মোটেও প্রস্তুত নয়। এ ধরনের কর্মকা-ে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই বলেও মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু ইরানের সঙ্গে দেশটির সংঘাতে জড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া ইসরাইলকেও ইরানের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ানোর পরামর্শ দেয় তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল কোনো হামলা চালালে তার জবাব দিতে প্রস্তুত আছে ইরান। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ইসরাইলের টানা হামলার প্রেক্ষাপটে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগাচি বলেন, ইসরাইল আক্রমণ করলে ইরান জবাব দিতে প্রস্তুত। ইরান এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালেও ইসরাইলের যে কোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপের নিষ্পত্তিমূলক এবং দুঃখজনক প্রতিক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।

গাজায় টানা চালাচ্ছে ইসরাইল, সম্প্রতি এর সঙ্গে লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দেশটি। এই দুই দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরাইলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অবশ্য সেই হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ইসরাইল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই সময় বলেছিলেন,  ইরানকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে। তবে এখনো কোনো সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

এতে ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় বলে জানায় ইসরাইল। এরপর গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। যুদ্ধ লেগে যায় দুই পক্ষে। গাজায় ইসরাইলি হামলা এখনো অব্যাহত। মাঝে কিছুদিন যুদ্ধবিরতি থাকলেও অবস্থা তেমন পরিবর্তন হয়নি।

×