ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

তলানিতে কানাডা-ভারত সম্পর্ক

পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

তলানিতে কানাডা-ভারত সম্পর্ক

তলানিতে কানাডা-ভারত সম্পর্ক

খালিস্তানপন্থি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে দেশ দুটি। এই ইস্যুতে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মাকে। পাশাপাশি দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার ৬ কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কানাডাও ভারতীয় ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এতে দুই দেশের সম্পর্কে বড় ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত বছর জুন মাসে খুন হন হারদীপ সিং নিজ্জর। যার পর খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অভিযোগ করেন, নিজ্জর হত্যার সঙ্গে জড়িত ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও তখনই ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি। নতুন করে সেই বিতর্ক ফের দানা বেঁধেছে সঞ্জয়কুমার বর্মার বিরুদ্ধে কানাডার তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্যে। তারা দাবি করেছে, ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা এই মামলায় স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি।

কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই মন্তব্যের পর দিল্লি ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্ট হুইলারকে তলব করে। তার কাছে গোটা বিষয়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। স্পষ্ট জানানো হয়, কানাডা সরকার যে অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিষয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল। অথচ কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকা-ে ভারতের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পেশ করেনি।

অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি থেকে কানাডার কূটনীতিকদের বহিষ্কার অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, সার্বভৌম কানাডার মাটিতে হামলার ঘটনায় কূটনীতিক এবং এজেন্টদের ব্যবহার করে ভারত মস্ত বড় ভুল করেছে। ট্রুডো জানিয়েছেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া তার প্রথম এবং প্রাথমিক কর্তব্য। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা তার কাজ।

×