ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

বিদ্যুৎহীন ১৫ লাখ পরিবার

যুক্তরাষ্ট্রে মিল্টনের তাণ্ডব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১০ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে মিল্টনের তাণ্ডব

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন। বৃহস্পতিবার ক্যাটাগরি-৩ এর এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার। এতে ফ্লোরিডার অন্তত ১৫ লাখ পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ক্যাটাগরি-৩ ঝড়ের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো জলোচ্ছ্বাস। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, যেসব এলাকা ঝড়ের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি সেখানে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা ৩ থেকে ৪ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ অবস্থায় হারিকেন মিল্টন আছড়ে পড়ার আগেই ফ্লোরিডা উপদ্বীপের প্রায় পুরো পশ্চিম উপকূলে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়। হারিকেন সেন্টার আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।

সিয়েস্তা কি নামক একটি দ্বীপে এই গতি রেকর্ড করা হয়েছে। সিয়েস্তা কি দ্বীপটি ফ্লোরিডার টাম্পা বে উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবস্থিত। এই দ্বীপে প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দা আছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূল খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে টাম্পা উপসাগরের উপকূলের অবকাঠামো ও জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঢেউয়ের উচ্চতা ১৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।

গভর্নর ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের কারণে এরই মধ্যে ১৯টি আলাদা টর্নেডোর জন্ম হয়েছে, যার ফলে অঙ্গরাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে ১২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে অধিকাংশ বাড়িই ছিল অস্থায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এরই মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়কে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছে। এর ফলে ফ্লোরিডার মধ্যভাগের অঞ্চলগুলোতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

×