ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ
ইসরায়েলি হামলায় লেবানন ও গাজা পুড়লেও অনেকটাই নীরব রিয়াদ। ইরানও ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর পর মুখে কুঁলুপ এটে বসেছিল দেশটি। তবে এবার বোধহয় সৌদির ঘুম ভাঙল। চীনের মধ্যস্থতায় গেল বছর ইরান-সৌদির সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগে।
তবে আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মতপার্থক্য বেশ প্রবল। সৌদি আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাইলেও রিয়াদ চায় না তেহরান তাকে ছাড়িয়ে যাক। এজন্য তেহরান বিরোধী জোটেও রিয়াদকে দেখা গেছে বার বার।
এজন্য প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে ইরান হামলা চালালেও চুপ ছিল সৌদি। তবে এবার হুঁশ ফিরেছে দেশটির। বৃহস্পতিবার সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাক্ষাতে তা স্পষ্ট হয়েছে।
উভয় নেতা এসময় লেবানন ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে ইসলামি দেশগুলোর ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কাতারে এশিয়ান কো-অপারেশেন ডায়ালগ সামিটের এক ফাঁকে এই আলোচনা হয়। সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেন পেজেশকিয়ান।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো মুসলিম দেশ, যাদেরকে আমরা ভাই বলে মনে করি, তাদের উচিত মতভেদ পাশ কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। ইসরায়েল পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে বলেও ইঙ্গিত দেন ফয়সাল বিন ফারহান।
তাসমিম