আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
এক ব্যাপক ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান ও ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে এখন মুখিয়ে আছে ইসরাইল। এর মধ্যেই নেতানিয়াহু সরকারের একটি গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা যায়, তেলআবিবের প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সম্ভবত খুব শীঘ্রই ইসরাইল তাদের টার্গেট পূরণে মাঠে নামবে। অপরদিকে ইরানও তাদের একটি গোপন পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছে। তেহরান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলার কথাও বলেছিল ইসরাইল। এ প্রসঙ্গে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি নেতানিয়াহু সরকারের এ ধরনের কর্মকা- সমর্থন করবেন না। তিনি বলেন, ইরানে ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেলআবিব ঠিক কী করতে চলেছে- আমরা তা পর্যালোচনা করছি। বুধবার হারিকেন ‘হেলেনের’ তা-বে নর্থ ক্যারোলাইনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন বাইডেন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও সিএনএন অনলাইনের।
সেখানে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয় ইসরাইল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে তিনি সমর্থন দেবেন কি না? তার জবাব ছিল অবশ্যই ‘না’। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরাইল এখন কী করতে চাইছে, তা নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন আরও বলেন, এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জি-৭ জোট নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সবাই একমত হয়েছেন যে ইসরাইলের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। তবে দেশটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’
কয়েকদিন আগে একটি খবর বের হয়- ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ছক কষছে দখলদার ইসরাইল। মূলত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর ইসরাইলি সরকারের একটি ধারণা তৈরি হয়েছে তারা এখন ভালো অবস্থানে আছে এবং চাইলে ইরানের ধর্মীয় নেতাকেও হত্যা করতে পারবে।
এমন খবর প্রকাশের পরই নেতানিয়াহুকে ইরানের ‘হিট লিস্টে’ রাখার তথ্য জানা গেল। এ ছাড়া ইরানের হিট লিস্টে আছে দখলদার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টও। গত বছরের অক্টোবরে হামাস ইসরাইলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালানোর পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজায় পূর্ণ অবরোধ করে লাখ লাখ গাজাবাসীকে অনাহারে ফেলেন এবং তাদের ‘পশু’ হিসেবেও অভিহিত করেন। বৈরুতের এক বাঙ্কারে বাস্টার বোমায় হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর সরকারের গোপন পরিকল্পনায় বলা হয়, তাদের পরবর্তী টার্গেট ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। এই খবর ইসরাইলের বিভিন্ন টেলিভিশনের খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানের হামলায় ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাণ বাঁচাতে বহু ইসরাইলি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। অনেকে তাৎক্ষণিক রাস্তায় শুয়ে পড়েন। কেউ কেউ বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তেলআবিবে মোসাদের সদর দপ্তরের সামনে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই হামলার পাল্টা প্রতিশোধ নিতে ইরানকে একযোগে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল ও তার ঘনিষ্ঠমিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে হামলার হুঁশিয়ারি দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিন সকালে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইরান বড় ভুল করে ফেলেছে। এজন্য দেশটিকে চড়া মূল্য দিতে হবে। নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যে নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছি, সেটাই বলবৎ থাকবে। যে দেশ আমাদের ওপর আক্রমণ চালাবে, আমরাও তাদের শান্তিতে থাকতে দেব না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ফলে ইসরাইলজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নেতানিয়াহু সরকার।
ইরানের পর বুধবার দেশটির ঘনিষ্ঠমিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীও ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই দৃশ্যকে অনেকে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি হিসেবে আখ্যা দেয়। এ হামলায় একাধিক ইসরাইলি সৈন্য নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এদিন ইসরাইলি স্থাপনায় হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথিরা। পাশাপাশি ইরাকে মার্কিন সৈন্যদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির জবাবের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইরান।
দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইসরাইল যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে চায়, তাহলে ইসরাইলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে। তিনি ইসরাইলি নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আরও তীব্রতার সঙ্গে এটার (হামলা) পুনরাবৃত্তি ঘটানো হবে এবং দেশটির স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও ইসরাইলে হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ইরানের নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার থেকে এটি একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া ছিল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ সময় তিনি ‘ইরান ও ইরান সমর্থিত সংগঠনের হুমকি থেকে মার্কিন সেনা, মিত্র ও অংশীদারদের রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। ইরান, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টাপাল্টি হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, আরও বৃহৎ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে মধ্যপ্রাচ্য। অনেকে আবার এ ঘটনার মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কাও দেখছেন। সাবেক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা জনাথন সুইট বলেন, ইসরাইল সম্ভবত ইরানের পরমাণু প্রকল্পের ওপর হামলার ছক কষছে।
অবার কেউ কেউ বলছেন, ইরানের অর্থনীতিমূলক তেলনির্ভর। তাই ইসরাইল ইরানের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিতে তেল স্থাপনার ওপরও হামলা চালাতে পারে। ইসরাইলের বহুদর্শী যুদ্ধ সাংবাদিক রন বেন-ইশাই ওয়াইনেট বলেন, ইরান এখন গাজা, লেবানন ও পশ্চিম তীরের মতো ইসরাইলের এক প্রাথমিক মনোযোগ পরিণত হয়েছে। প্রায় এক টন ওজনের বোমা যুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কৌশলগত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যস্থল করার পাশাপাশি ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইরান। তাই ইসরাইলকে অবশ্যই তাদের প্রতিক্রিয়া আরও বাড়াতে হবে। ইরানের নেতৃবৃন্দও সম্ভবত ইসরাইলের পাল্টা হামলার অপেক্ষায় সতর্কভাবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা তৈরি করছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলায় ইরানের আঞ্চলিক প্রতিরোধ অক্ষের ছায়া বাহিনীগুলো অনেকটা দুর্বল হয়েছে। এর মধ্যে ইসরাইল হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ও লেবাননে ইরানের রেভল্যুশনারি গাড কোরের (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে ইরানের অবস্থান আগের চেয়ে দুর্বল করে তুলেছে। আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরাইল সংঘাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ইসরাইল ও ইরান উভয়ই নিজেদের রাজনৈতিকভাবে টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে।
নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক টিকে থাকার বিষয়টি এই যুদ্ধে গভীরভাবে যুক্ত, একইভাবে ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা টিকিয়ে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান বজায় রাখবে, যতক্ষণ না কোনো পক্ষ সম্পূর্ণ পরাজিত হয় অথবা একটি শক্তিশালী পক্ষ উভয়কে এই যুদ্ধে ইতি টানতে রাজি করতে পারে। অধ্যাপক মাহজুব জুয়েইরি বলেন, ইরানের এই আঘাত মূলত নেতানিয়াহুর সরকারের সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ‘রাজনৈতিক ও সামরিক হয়রানি’র জবাব। তবে ইসরাইল এ ঘটনার প্রভাব পর্যালোচনা করতে কিছুটা সময় নেবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ থামানোর কোনো জোর পরিকল্পনা নেই। আমি স্থিতিশীলতার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে কিনা, প্রশ্নের জবাবে জুয়েইরি বলেন, লেবানন ও ইয়েমেন ইতোমধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি ও তেহরানের সঙ্গে ইসরাইলের দ্বন্দ্বের ূল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
বুধবার তেহরানে একদল সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ ব্যাখ্যা প্রদান করেন তিনি। তিনি আঞ্চলিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের জন্য ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় দেশকে’ দোষারোপ করেছেন। খামেনি বলেন, তারা মিথ্যাভাবে দাবি করে যে তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে বরং এ অঞ্চলে শান্তি চাইলে তাদেরই এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। তারা যদি এ অঞ্চলে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করে, তাহলে নিঃসন্দেহে এসব সংঘাত সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে এবং এখানকার মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।
তিনি হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তবে কোনো বৈঠক স্থগিত করেননি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, গাজা ও লেবাননে নির্বিচার ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদের উচিত হবে ১৯৫০ সালে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরাইলের ওপর বলপ্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া। আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোয়ান এ কথা বলেন। জাতিসংঘে ১৯৫০ সালে পাস হওয়া ‘ইউনাইটিং ফর পিস রেজল্যুশন’এ বলা আছে, নিজেদের মধ্যে মতভেদের কারণে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যদি বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এগিয়ে আসতে পারবে।
এ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, এখন সাধারণ পরিষদের উচিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর ব্যর্থতায় ‘দুঃখ পেয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে তেলের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ঘটনায় ইরান ও লেবাননের মানুষ বুধবার সড়কে নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন। এ সময় আতশবাজির ঝলকানিও দেখা যায়। অনেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। হামলার খবর জানার পরপরই ইরানের রাজধানী তেহরানের সড়কে নেমে আসেন অনেক মানুষ। তাদের অনেকেই ইরান ও হিজবুল্লাহর পতাকা ওড়ান। অনেকের হাতে ছিল হিজবুল্লাহর সদ্য প্রয়াত নেতা হাসান নাসরাল্লাহর ছবি।
তেহরানের ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনেও অনেক মানুষকে উদ্করতে দেখা যায়। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ আখ্যা দিয়ে তাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ বলেছেন, মঙ্গলবার ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দ্ব্যর্থহীনভাবে সেটির নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন গুতেরেস। তার অভিযোগ জাতিসংঘ মহাসচিব ‘ইসরাইল বিরোধী’ এবং ‘সন্ত্রাসী, ধর্ষক ও খুনিদের মদতদাতা। আগামী প্রজন্মের কাছে জাতিসংঘ মহাসচিব কলঙ্কিত হিসেবে আখ্যায়িত হবেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রধান মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বৃদ্ধির পর এ নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধ বিরতির আহ্বানও জানান।
শুক্রবার বৈরুতে এক হামলায় নাসরাল্লাহকে হত্যা করে ইসরাইল। হিজবুল্লাহ জানায়, আমাদের সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহ সংগঠনটির মহান ও অমর শহীদ কমরেডদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন; যাদের তিনি ৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে গাজা ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং লেবানন ও এর জনগণের সুরক্ষায়ও তাদের তৎপরতা চলবে।